হিন্দু ধর্মে তুলসিকে পুজো করা হয় দেবতাজ্ঞানে। আসলে হিন্দু ধর্মে বিজ্ঞানভিত্তিক চর্চা চলে আসছে বহুদিন ধরে। তুলসি গাছের হাজারটা গুণ।
তাই তুলসিগাছকে দেবতার আসনে বসিয়ে এই গাছ নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানোর উপায় করেছিলেন প্রাচীণ মুনি-ঋষি-শাস্ত্রজ্ঞরা।
তুলসি গাছ প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে থাকে। তার কারণ এই গাছের পাতা অক্সিজেনের ভাণ্ডার। অন্য গাছ থেকে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন ছাড়ে তুলসি পাতা।
তাছাড়া তুলসির ভেষজ বা ওষধিগুণ দারুণ। সাধারণ সর্দিকাশি নিরাময়ের বিষয় জানলেও এর আরও গম্ভীর রোগ নিরাময়ের গুণ আছে। তা আমরা অনেকেই জানি না।
সর্দি কাশি নিরাময়ে এর কোনও তুলনা হয় না। যাদের ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তুলসী অত্যন্ত উপকারী।
তুলসী পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তুলসীতে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।
হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতেও তুলসী অত্যন্ত সাহায্য করে । তাই হরমোনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে হবে।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে তুলসী। রোজ তুলসী খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিসের সমস্যা মেটাতেও অত্যন্ত কার্যকর তুলসী। নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে এগুলো সবটাই সাধারণ পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য। কেউ কোনও রোগে গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিন। কারণ তুলসি চটজলদি কোনও কিছুই নিরাময় করতে পারে না।