শরীরের বর্জ্য পদার্থ হল ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের ফলে সেখান থেকে বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সোজা কথায় প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরের ভিতরে থাকে।
আমাদের প্রত্যেকের শরীরেই ইউরিক অ্যাসিড থাকে, তবে সেটা একটা স্বাভাবিক পরিমাণে। অস্বাভাবিক ব্যাপার তখন হয়, যদি কিডনি থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বেরতে না পারে অথবা দেহে বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি শুরু হয়।
হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন অস্থি সন্ধি বা জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে শুরু করে। তখন অস্থি সন্ধি লাল হয়ে ফুলে যায়, ব্যথা-যন্ত্রণা শুরু হয়। এর ফলে আক্রান্ত রোগীর হাঁটতে সমস্যা হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে।
ইউরিক অ্যাসিড থেকে দূরে থাকতে কিংবা নিয়িন্ত্রণে রাখতে কিছু খাবার একেবারে দূরে রাখুন। আসুন জানা যাক কোন পাঁচ খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
ঠাণ্ডা পানীয়তে খুব বেশি চিনি থাকে। যা, শরীরের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। ইউরিক অ্যাসিড রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ফিট থাকতে সফট ড্রিঙ্কস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
অ্যালকোহলে পিউরিন পাওয়া যায়, তাই এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। বিয়ারে সর্বোচ্চ পিউরিন থাকে বলে অনেক গবেষণায় জানা গেছে। তাই ইউরিক অ্যাসিড রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত।
রেড মিট আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। কারণ এতে প্রচুর পিউরিন থাকে। এই পদার্থ দীর্ঘদিন ধরে রেড মিট খাওয়া মানুষের রক্তে জমতে থাকে, যা পাথর এবং বাতের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিছু সামুদ্রিক খাবারও পিউরিনে সমৃদ্ধ। টুনা, স্যালমন এবং ট্রাউটের মতো মাছে পিউরিন বেশি থাকে। এগুলি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে যা, কিডনি ব্যর্থতার কারণ হতে পারে।
ফুলকপি, পালং শাক এবং মাশরুমের মতো সবজিতে ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদিও উপরে উল্লিখিত খাবারের মতো ইউরিক অ্যাসিড না বাড়ালেও, তবুও এগুলি ক্ষতিকর। তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুষম পরিমাণে এই সবজি খাওয়া উচিত।