Winter Tips: শীতের মরসুমে ঠান্ডা, ফ্লু এবং সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই সময়ে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ গরম জলে স্নান করে। চা-কফির মতো গরম খাবার খায়। কিন্তু আপনি কি জানেন? ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই কাজগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে। যেমন, দীর্ঘক্ষণ গরম জল দিয়ে স্নান করাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। জেনে নিন শীতে কোন ভুলগুলো করা এড়িয়ে চলা উচিত।
দীর্ঘক্ষণ গরম জলে স্নান নয়- বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ গরম জল দিয়ে স্নান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এটি আমাদের শরীর এবং মন উভয়ের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। আসলে গরম জল ত্বকের কেরাটিন নামক কোষের ক্ষতি করে, যা ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা এবং ফুসকুড়ির সমস্যা বাড়ায়।
খুব বেশি পোশাক পরা এড়িয়ে চলা- শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখা উচিত, তবে বেশি জামা কাপড় পরা এড়িয়ে চলতে হবে। এতে আপনার শরীর অতিরিক্ত গরমের হয়ে যেতে পারে। যখন আমাদের ঠান্ডা লাগে, তখন আমাদের ইমিউন সিস্টেম শ্বেত রক্ত কণিকা (WBC) তৈরি করে, যা আমাদের সংক্রমণ এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। যেখানে শরীর অতিরিক্ত গরম হলে ইমিউন সিস্টেম কাজ করতে অক্ষম হয়।
বেশি খাবার খাওয়া- শীতের সময় হঠাৎ করেই মানুষের খাদ্যাভ্যাস বেড়ে যায় এবং সব কিছু খেতে শুরু করে। ঠান্ডায় শরীর তুলনায় ক্যালরি কম খরচ হয়, চকোলেট বা অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার দিয়ে পূরণ করতে শুরু করি। এগুলি করা উচিত নয়, বরং খিদে পেলেই শুধু সবজি বা ফল খাওয়া উচিত।
ক্যাফেইন- শীতে শরীর গরম রাখার জন্য চা এবং কফি খায় সকলে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি কফি পান করা উচিত নয়।
কম জল খাওয়া- শীতকালে মানুষের তৃষ্ণা কম লাগে। তবে এর মানে এই নয় যে ঠান্ডায় শরীরে জলের প্রয়োজন হয় না। প্রস্রাব, হজম ও ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বের হয়ে যায়। জল না খাওয়ার কারণে শরীর জলশূন্য হতে শুরু করে। এতে কিডনি ও হজমের সমস্যা বাড়তে পারে।
ঘুমানোর আগে যা করবেন- একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে ঘুমানোর আগে হাত-পা গ্লাভস ও মোজা দিয়ে ঢেকে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ঘুম তাতে ভালো হয়।
যেভাবে শোবেন- শীতে দিন ছোট হয় এবং রাত দীর্ঘ হয়। তাই রুটিন শুধুমাত্র সার্কাডিয়ান সাইকেলকে বদলায় না, তবে শরীরে মেটালোনিন হরমোন (ঘুমের হরমোন) উৎপাদনও বাড়ায়। এর ফলে অলসতা বেড়ে যায়। তাই ঘুমের সময়ই পর্যাপ্ত ঘুমের চেষ্টা করুন।
বাইরে বেরোনো এড়াবেন না- শীতে বেশিরভাগ মানুষই ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এতে স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে।
ব্যায়াম- ঠাণ্ডায় তাপমাত্রা কম থাকায় মানুষ বিছানায় বসে থাকে, জড়সড় হয়ে পড়ে। শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায়। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। তাই বসে না থেকে অবিলম্বে সাইকেল চালানো, হাঁটা বা যেকোনো ওয়ার্কআউট শুরু করুন।
নিজে থেকে ওষুধ- এই ঋতুতে প্রায়ই কাশি, সর্দি বা জ্বরের সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ মারাত্মক হতে পারে। এগুলি কিছু গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে। অতএব, কোনো ওষুধ বা প্রেসক্রিপশন চেষ্টা করার আগে, একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।