Heart Attack Warning Signs: হার্ট অ্যাটাক প্রায়ই হঠাৎ এবং অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার এক মাস আগে কিছু লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, এটি প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক এবং সময়মতো ব্যবস্থা নিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
হার্ভার্ড হেলথ ৫০০ জনেরও বেশি মহিলা নিয়ে একটি সমীক্ষা করে দেখেছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণগুলি সময় মতো চিনতে পেরেছেন, তাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে যে, দুটি প্রধান লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই বিপদের ইঙ্গিত দেয়।
হার্ভার্ড হেলথ-এর ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯৫ শতাংশ মহিলা দেখেছেন যে তাদের হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে কিছু সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ক্লান্তি এবং ঘুমের ব্যাঘাত হার্ট অ্যাটাকের নির্দেশক দুটি সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ ছিল।
সমীক্ষা অনুযায়ী, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ঘাম, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হার্ট অ্যাটাকের আগের কয়েকটি প্রধান লক্ষণ। পুরুষদের জন্য হৃদরোগের একটি সাধারণ প্রাথমিক উপসর্গ হল বুকে ব্যথা।
তবে এই মহিলাদের তালিকায় এটি আরও নিচে ছিল। যারা এটি অনুভব করেছেন, তারা ব্যথার পরিবর্তে চাপ অনুভব করেছেন বা বুকে টান অনুভব করেছেন। এই গবেষণায় শুধুমাত্র এক তৃতীয়াংশ মহিলা হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন।
কীভাবে এই সমীক্ষা সাহায্য করতে পারে?
হার্ভার্ড হেলথ বলে যে কিছু মহিলার চরম ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত বা শ্বাসকষ্টের আকারে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ থাকতে পারে। এই উপসর্গগুলোর দিকে মনোযোগ দিলে এবং তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যায়।
মহিলাদের এবং তাদের ডাক্তারদের বুকে ব্যথার বাইরে চিন্তা করতে হবে যখন মহিলারা হার্ট অ্যাটাকের সম্মুখীন হন। শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, ঠাণ্ডা ঘাম, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাবকে অবশ্যই কোনও কিছুর লক্ষণ হিসেবে ভাবতে হবে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে টিপস:
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা উচিত। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা এবং স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ধূমপান ত্যাগ করা এবং অ্যালকোহল সেবন কমানোও সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।