তেলেভাজা, মশালাদার খাবারে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হলেও তা অত্যন্ত সুস্বাদু। অনেকেই মুখের স্বাদ বদল করতে খেয়ে ফেলেন এই সব খাবার। আর উৎসব, অনুষ্ঠান হলে তো কথাই নেই! বিয়েবাড়ির নেমন্তন্ন হলেও না বলা যায় না। এই ধরনের খাবারে শরীরের বিবিধ সমস্যা দেখা দেয়। হাই কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এসব তো আছেই।মুখরোচক খাবার খেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসিডিটির সমস্যাও হয়। বিগড়ে যায় পেট। অনেক সময় আগে ব্যবহৃত তেলে ভাজা হয় খাবার। ফলে হজম করতে অসুবিধা হয়। তা অ্যাসিডিটির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পেটের সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার কীভাবে করবেন?
কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাসের মতো সমস্যা থাকলে দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকে ওষুধ খেতে চান না। তবে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১। আজোয়ান- এ কথা কে না জানে, জোয়ান মাত্রই হজম সহায়ক! অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটি হলে আজোয়ান স্বস্তি দিতে পারে। এর জন্য হালকা গরম জলে বিটনুন ও আজোয়ান মিশিয়ে পান করুন। কিছুক্ষণ পরই স্বস্তি অনুভব করবেন। গ্যাস ও পেটফোলার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
২। মৌরি- মৌরি হজমের অব্যর্থ ওষুধ। বাঙালি রেস্তোরাঁতে বিল দেওয়ার সময় মৌরির প্লেট এগিয়ে দেওয়া হয়। মুখশুদ্ধির জন্য মৌরি ব্যবহার করা হয়। অ্যাসিডিটি দূর করতেও অব্যর্থ দাওয়াই। এক চামচ মৌরি জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরে তা খান। সারারাত ভিজিয়ে সকালে খেলে গ্যাস, বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া মৌরিতে আছে কপার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম। কপার ও আয়রন রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। জিঙ্ক বিভিন্ন উৎসেচক নিঃসরণে সাহায্য করে। পটাশিয়াম হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩। হিং- খাবারের স্বাদ বাড়াতে হিং ব্যবহার করা হয়। আপনি কি জানেন বদহজম ও অ্যাসিডিটিতে উপকারী হিং। এর জন্য হিং পিষে গুঁড়ো করে গরম জলে মিশিয়ে খান। সমস্যা দূর হতে বেশি সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন- পানপাত্রের মাপ কেন 'পেগ'? স্মল ও লার্জের পরিমাণ কত? জানুন ইতিহাস