সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকের অম্বল হয়। কিছু না খেলেও। আবার সারাদিনে কিছু খেলেও অম্বল যেন পিছু ছাড়ে না। সঙ্গে গ্যাস, বদহজম, চোঁয়া ঢেকুর তো আছেই। এই সমস্যায় ভোগেন কোটি কোটি মানুষ।
গ্যাস বা বদহজম হলে মুঠোমুঠো ওষুধ খান অনেকেই। তখনকার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেলেও অম্বল যেন পিছু ছাড়ে না। পরদিন সেই যেমনকার তেমনই। আর ঘনঘন অম্বল, গ্যাস শরীরের ক্ষতিও করে অনেক। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঝুঁকিও থেকে যায়।
কীভাবে এর থেকে নিস্তার পাবেন ?
ডাক্তার পঙ্কজ পুরি, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোবিলিয়ারি সায়েন্সেস, ফোর্টিস এসকর্টস হাসপাতাল নিউ দিল্লির এই বিষয়ে কিছু টিপস দিয়েছেন। সেগুলো মেনে চললেই এই গ্যাসট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কী কী সেই টিপস ?
১) ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, বদহজম হলে অনেক সময় পেটে ব্যথা করে। তখন পেন কিলার খাবেন না। এতে আলসার হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। এছাড়াও খুব বেশি ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়ানো উচিত। অল্প অল্প করে খান। তবে বেশিবার খেতে হবে। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়বেন না। খাওয়ার পর শোওয়ার আগে এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা সময় নিন। রাতে একটু তাড়াতাড়ি খাবার খান।
২) আপনার যদি অ্যাসিডিটি থাকে তবে কফি এড়িয়ে চলা ভালো। এছাড়াও ধূমপান, মদ্যপান, ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকা ভালো। এগুলো মেনে না চললে আলসার হতে পারে।
৩) অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে অনেক সময়ে গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত মাছ-মাংস, দুধ না খাওয়াই ভাল। পাশাপাশি শারীরিক কসরত করতে পারলে বদহজম থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে গ্যাসের সমস্যা হয়। অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা,কফি খেলে বা অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে।