আমন্ড খেতে কে না ভালোবাসে! দেশ ও বিশ্বের নানা প্রান্তে তাই আমন্ডের চাহিদা। আর তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো। আমন্ডে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান। যা শরীরকে সুস্থ রাখে। ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আমন্ড। বাদাম খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। বৃদ্ধি পায় মস্তিষ্কের শক্তি। এত গুণে সমৃদ্ধ বাদাম কিন্তু ক্ষতিকরও হতে পারে। শরীরে কয়েকটি সমস্যা থাকলে বাদাম খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে লাভের জায়গায় ক্ষতিই হয়। বাদাম খেলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়-
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সকালে খালি পেটে এক মুঠো বাদাম শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম। তবে বাদাম সকলেই খেতে পারেন না। কয়েকটি সমস্যা থাকলে বাদাম এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
হজমের সমস্যা- অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য,গ্যাস, পেট ব্যথা ও পেট খারাপ হতে পারে। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। বেশি খেলে শরীরের জন্য বিষের সমান হতে পারে। হজমের সমস্যা থাকলে বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। খেলেও ২-৩টি খান।
অতিরিক্ত ভিটামিন ই- ১০০ গ্রাম (আধ কাপ) আমন্ডে ২৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই থাকে। যদিও শরীরে দৈনিক ভিটামিন ই দরকার ১৫ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ এক কাপ বাদামে থাকে দৈনিক চাহিদার তিনগুণ বেশি ভিটামিন ই। ভিটামিন ই অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে দুর্বল হয় শরীর। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে- আমন্ডে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। যে কারণে ওজন সহজেই বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণা বলছে,যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের আমন্ড থেকে দূরে থাকা উচিত। আমন্ডে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। প্রায় ১০০ গ্রাম আমন্ডে থাকে ৫০ গ্রাম ফ্যাট। শরীরের অতিরিক্ত যাঁদের ফ্যাট তাঁরা বেশি আমন্ড খেলে দ্রুত বাড়তে শুরু করে ওজন।
কিডনিতে পাথরের সমস্যা- অতিরিক্ত আমন্ড খেলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হতে পারে। কিডনিতে পাথর তৈরি হয় যখন উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম অক্সালেট শরীরে থাকে। তা পরিশ্রুত করতে পারে না কিডনি। বাদাম অক্সালেট সমৃদ্ধ। বাদামের মাধ্যমে অক্সালেটের মাত্রা আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। ফলে অত্যাধিক খেলে কিডনির নানা সমস্যা হতে পারে। হতে পারে প্রস্রাবের সমস্যাও। যাঁদের কিডনি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা আছে তাঁদের বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
আরও পড়ুন- ছোটখাট জিনিস মনে থাকছে না? সকালে খালি পেটে খান এই মিষ্টি