বয়স বাড়তে শুরু করলে মুখে বার্ধক্যের লক্ষণ অর্থাৎ বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ত্বকের যত্নে বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনে বার্ধক্যজনিত লক্ষণ রোধে কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, যেগুলি অনুসরণ করলে আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে এবং আপনাকে দীর্ঘদিন তরুণ দেখাবে। এই টিপসগুলি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ত্বককে টানটান রাখে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন ত্বক চকচকে রাখার ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে নেওয়া যাক।
কলা
একটি পাত্রে কলার খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে চটকে নিন। তারপর আপনার আঙ্গুলের সাহায্যে সেই কলার পেস্ট মুখে লাগান। পেস্টটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র একবার এই মাস্কটি ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পেতে শুরু করবেন। কলা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি-তে সমৃদ্ধ। তাই এটি মুখের বলিরেখা এবং ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
দই
এর জন্য একটি পাত্রে ২ চামচ দই, এক চামচ মধু, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং প্রায় ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে লেবুতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আপনার ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল
নারকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে নারকেল তেল মালিশ করলে শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকে এই পেস্টটি ট্রাই করবেন না।
চাল
এর জন্য একটি পাত্রে চালের আটা, গোলাপজল ও দুধ মিশিয়ে নিন। তারপর আপনি এই ফেসপ্যাকটি আপনার পুরো মুখে লাগান। প্রায় ২০ মিনিট ধরে এটি শুকিয়ে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাক লাগালে ভাল হয়। চালের আটার মধ্যে থাকে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য।