জীবনযাত্রা আর আগের মতো নেই। মানুষের আর আগের মত শক্তি নেই। অধিকাংশ মানুষই সবসময় ক্লান্তি এবং দুর্বলতায় ভোগেন। শরীরে রক্তের অভাবে এমনটা হতে পারে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে অ্যানিমিয়া বেশি দেখা যায়। শরীর পর্যাপ্ত আয়রন না পেলে অ্যানিমিয়া হয়। সেজন্য পাতে এমন খাবার ও পানীয় রাখা উচিত যা শরীরে রক্ত তৈরি করতে সক্ষম। আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা হয়। এই অসুখে রক্তে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি থাকে। লোহিত রক্তকণিকা শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন বহনের কাজ করে। পর্যাপ্ত আয়রন ছাড়া আপনার শরীর লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না। শরীরে রক্তল্পতা থাকলে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
কীভাবে আয়রনের ঘাটতি দূর করবেন?
অ্যানিমিয়া চিকিৎসা এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করার জন্য উচ্চ আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রেখা রাধামণি জানাচ্ছেন, রক্তশূন্যতার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা রয়েছে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের কথা বলেছেন যেগুলো খেলে শরীরে রক্ত তৈরি হতে পারে।
আদা- রক্তাল্পতা এবং আয়রনের ঘাটতি নিরাময়ে আদা কার্যকর। আদা আয়রন শোষণে সাহায্য করে এবং রক্তাল্পতার চিকিৎসায় সক্ষম। এর জন্য আপনি শুকনো আদা পাউডারও খেতে পারেন।
ঘি ও আমলা- আয়রনের ঘাটতি কমাতে এবং শরীরে রক্ত তৈরি করতে আমলা এবং ঘি খেতে হবে। দুপুরের খাবারের আগে এক চামচ আমলা গুঁড়ো এক চামচ ঘি দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
পেট জ্বালা করে এমন খাবার খাবেন না-এমন খাবার খাওয়া উচিত নয় যা পেটে জ্বালা করে বা আঠালো নিঃসরণ বাড়ায়। আয়ুর্বেদে একে বলে বিদহি। এই খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে আপেল সিডার ভিনেগার, কফি, টমেটো এবং আলু।
গুড় ও কিশমিশ- রক্তাল্পতার চিকিৎসার জন্য দ্রক্ষরিষ্ট সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন। রক্তাল্পতা নিরাময়ের জন্য আপনি এটি খাবারের পরে ১৫ মিলি করে খেতে পারেন। এটি গুড় এবং কিশমিশের মতো অনেক আয়ুর্বেদিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
লাল আঙুর ও কালো কিশমিশ- শীতকালে প্রচুর লাল আঙুর বিক্রি হয়। আপনি অ্যানিমিয়ায় ভুগলে এগুলি খাওয়া উচিত। একইভাবে কালো কিশমিশেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন পাওয়া যায়।
বেদানা- রক্তাল্পতা দূর করতে বেদানাও কার্যকর। বেদানায় থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরে লোহিত রক্তকণিকার বৃদ্ধি ঘটায়।
আরও পড়ুন- বাঁধাকপি খেয়ে নিচ্ছে মাথার ঘিলু? জানুন কীভাবে রান্না করলে বাঁচবেন