তুলসীকে আর পাঁচটা গাছের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতায় তুলসী পাতা অমূল্য। তুলসীর নানা গুণ বর্ণিত রয়েছে আর্য়ুবেদে। তুলসী ঔষধি। আধুনিক গবেষণাও বলছে, তুলসীতে রয়েছে বিবিধ ভেষজ গুণ। শুধু সর্দি-কাশির উপশমেই নয় তুলসী কাজে লাগে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য তুলসী মহৌষধি। এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন। এতে কমে সংক্রমণের সম্ভাবনা। তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ। সেই সঙ্গে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তুলসী পাতা ব্যথা প্রশমনেও কাজে দেয়। তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গালের মতো গুণ। গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খেলে কী কী ফায়দা?
রক্তাল্পতায় মোকাবিলা - অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা প্রতিদিন অন্তত দু'টি করে তুলসী পাতা খান। শরীরে রক্তের অভাব হবে না। গর্ভবতী মহিলারা সাধারণত রক্তাল্পতায় ভোগেন। রোজ তুলসী পাতা খেলে এই সমস্যা দূর হবে।
সন্তানের সুস্বাস্থ্য- তুলসীতে থাকে ভিটামিন এ। তা গর্ভে থাকা সন্তানের বিকাশে সাহায্য করে।
সবল হাড়- তুলসীর পাতায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম। গর্ভস্থ সন্তানের হাড়কে সবল করে এই খনিজ। এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ। তা টেনশন কমায়।
সংক্রমণ কমায়- তুলসী পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটরিয়াল গুণ থাকে। এতে মা ও শিশুর সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে।