২০২০ সালে কোভিড প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এখন সামান্য আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেই সর্দি-কাশি-জ্বর হচ্ছে। শীত বিদায়ের সময় আবহাওয়ায় আরও খামখেয়ালি হয়েছে। কখনও গরম, কখনও শীত অনুভূত হচ্ছে। এই খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে এখন ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। কাশি কিছুতেই কমছে না। ফুসফুসের সংক্রমণ সংক্রমণে ভুগছেন বহু মানুষ। ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে পারে ৭টি খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কাঁচা লঙ্কা- অনেকেই জানেন না কাঁচা লঙ্কা ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা এক ধরনের জলে দ্রবণীয় পুষ্টি। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয় লঙ্কা। এটি ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
হলুদ- আয়ুর্বেদে হলুদের বিবিধ গুণের কথা বলা হয়েছে। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ। তাই এটি সুপারফুড। এতে রয়েছে কারকিউমিন নামের একটি যৌগ। যা ফুসফুসকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ থেকে বাঁচায়।
আদা- স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী আদা। খামখেয়ালি আবহাওয়ায় সর্দি-কাশিতে ঠেকাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। ফুসফুসের ক্ষতি ঠেকায় আদা। বুকে কফ বসে গেলে বাড়ে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি। ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে আদা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কাঁচা রসুন- রসুন শ্বাসকষ্টের সমস্যার প্রতিকার করতে সক্ষম। এতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুণ। যা শারীরিক প্রদাহ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। রসুন খেলে ভালো থাকবে ফুসফুসের স্বাস্থ্য। কাঁচা রসুন স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
আখরোট- অনেকেই রোজ আখরোট খান। আখরোট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে এতে। আখরোট ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও লাঘব করে। তাই রোজের সামান্য আখরোট খান।
বার্লি- বার্লি পুষ্টিকর গোটা শস্য। এতে রয়েছে ফাইবার। ফুসফুসের যত্ন নিতে বার্লির জুড়ি মেলা ভার। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও কার্যকরী।
শাক-সবজি- সবুজ শাক-সবজিতে থাকে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে ক্যারোটেনয়েড, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং বিবিধ ভিটামিন। যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ দেয়। উন্নত হয় ফুসফুসের স্বাস্থ্য।
আরও পড়ুন- শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে এই ৭ ফল, হতে পারে কিডনির ক্ষতি