Bikaner Gym Accident: ৫ ভুলেই মৃত্যু যষ্টিকার, জিমে আপনিও এই ভুলগুলি করেন না তো?

যষ্টিকা আচার্যের ক্ষেত্রে, প্রাথমিক ত্রুটি ছিল তার পায়ের ভারসাম্য হারানো। যেখানে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে রাবারের তিনটি ম্যাট ছিল। তারপরও তাঁর উচ্চতা কম থাকায় পা উঁচু করে ভারী ওজন তুলতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। যে কারণে ওজন তোলার সঙ্গে সঙ্গে টলমল করে পড়ে যান যষ্টিকা।

২৭০ কেজির মতো ভারী বারের ওজন তোলার জন্য চারপাশে শক্তিশালী লোকজন থাকা উচিত। পাওয়ারলিফটিংয়ে এটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ওজন তুলছেন তিনি প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ওজন তোলা উচিত নয়।

পাওয়ার লিফটিংয়ে তিনটি পজিশন আছে, ১. স্কোয়াট ২. বেঞ্চপ্রেস ও ৩. ডেডলিফ্ট। এই তিনটি ইভেন্টে সেরা হলে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই পদক আসে। যষ্টিকা করছিলেন স্কোয়াট। বার নিয়ে স্কোয়াট করার সময় প্রায়শই দু'পা পিছিয়ে যেতে হয়, এরপর স্কোয়াট পজিশনে বসতে হয়। কিন্তু ওজন তোলার সময় পায়ের তলায় ৩টে ম্যাট থাকায়, সেই সঙ্গে উচ্চতার থেকে উঁচু জায়গায় বার থাকায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

দুর্ঘটনায় ৫টি ভুল কী কী? 
১. যষ্টিকা আচার্য যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন সেই জায়গাটি সমতল ছিল না, পায়ের তলায় ৩টে ম্যাট ছিল। 
২. এরফলে ম্যাট থেকে দু'পা পিছোতেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাঁর উচ্চতার থেকে উঁচুতে বার থাকায় পা উঁচু করার কারণেও ভারসাম্য হারায়।
৩. যষ্টিকা যখন ওজন নিতে পারছিলেন না তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। 
৪. ট্রেনারকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। 
৫. ওয়েট ধরে রাখতে না পেরে সামনের দিকে ছেড়ে দেওয়া।

স্কোয়াট করার সময় ওজন না নিতে পারলে কোনদিকে ছাড়বেন?
আন্তর্জাতিক পাওয়ার লিফটার নিধি সিং প্যাটেল বলেছেন, পাওয়ার লিফটিংয়ে স্কোয়াট পজিশন নেওয়ার সময়, যখনই ভারসাম্যহীনতা দেখা দেবে তখন ওয়েট পিছনের দিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কখনই ঘাড়ের দিকে আনা উচিত নয়। এমনকি যষ্টিকা আচার্যের ক্ষেত্রেও যদি ওজনটা পিছনে ফেলে দিতেন, তাহলে হয়তো পিছনের কোনও সাপোর্টারই তা সামলে নিতেন। খেলোয়াড়রা যদি বেশি ওজন তোলেন এমনকি সাধারণ মানুষও তবে পাশের দুই ব্যক্তি (লোডার) এবং যারা পিছনে দাঁড়িয়েছে (সমর্থক) তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত, তাদের শক্তিশালী হওয়া উচিত।