শীতের মরশুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকেরই কমে যায়। যার জেরে হয় সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের মতো সমস্যা। দেখা যায় এই ধরনের শারীরিক সমস্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। অনেক শিশুকেই প্রায় গোটা শীতকালটাই সর্দি কাশিতে ভুগতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে গোল মরিচ হয়ে উঠতে পারে খুবই কার্যকরী। গোল মরিচ ব্যবহার করে আপনি হাজার হাজার টাকা চিকিৎসার বিল বাঁচাতে পারেন। গোল মরিচ শুধু সর্দি কাশি থেকেই মুক্তি দেয় না, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষভাবে কাজ করে। তারমধ্যেও এটি শিশুদের জন্য খুবই কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়। আর এটি যদি সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা হয়, তাহলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
এভাবে মুক্তি পান সর্দি কাশি থেকে
১. প্রায়শই শীতকালে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুদের দুর্বলতার কারণে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে। সর্দি কাশিতে গোল গোলমরিচের গুঁড়ো ও মধু এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এটি শিশুদের খাওয়ালে তাদের গলা ব্যথা কমে যায় এবং ঠান্ডা ও সর্দিও লাগাও সারে।
২. গোল মরিচ দুধের সঙ্গে খেলেও কার্যকরী। বাড়ির কোনও শিশু শীতে ভুগলে তাকে এক গ্লাস দুধে ১ চা চামচ গরুর দুধের ঘি ও গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করান। তাতে করে সর্দি-কাশি সেরে যাবে এবং শিশু এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
৩. দুধ এবং মধু ছাড়া অমলেটের সঙ্গেও গোল মরিচ ছিটিয়ে খেতে পারেন। এতে শিশুরা প্রোটিন পাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দূরে থাকবে। এটি শিশুদের ভেতর থেকে শক্তি জোগাবে এবং তাদের সুস্থ রাখবে। এছাড়া অমলেটে গোল মরিচ ব্যবহার করলে সেটি খেতেও খুব সুস্বাদু লাগে। তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে ও স্বাস্থ্যের উপকার পেতে এটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন - রাতে ভাল ঘুম হবে, দিন কাটবে ফুরফুরে, শুধু দুধে মেশান এই জিনিস