ফিটনেস নিয়ে ইদানীং মাতামাতি বেড়েছে। সকলেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছেন। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টেনেছেন। শরীর টানটান রাখতে নিয়মিত রূপচর্চাও করছেন। কিন্তু এটা সবাই ভুলে যাচ্ছেন যে স্বাস্থ্য-রূপের সঙ্গে মস্তিষ্কে শাণ দেওয়াও জরুরি। মগজাস্ত্র ধারালো না হলে সাফল্য যে আসবে না। তাই মস্তিষ্ককে সচল করে তোলা দরকার। সেজন্য রয়েছে কয়েকটি অনুশীলন। এগুলি নিয়মিত করলেই মস্তিষ্ক থাকবে সচল।
বর্তমান জীবনযাত্রায় চাপ বেড়েছে। অফিসে নানা জিনিস মনে রাখতে হয়। আবার বাড়ির চাপ। সব চাপ কিন্তু সামলায় মস্তিষ্ক। তাই মস্তিষ্কের ক্ষমতা নিয়ে ঢিলেঢালা মনোভাব নেবেন না। মস্তিষ্কের অনুশীলন না করলে ধীরে ধীরে বুদ্ধি এবং যুক্তি শক্তি হ্রাস পায়। সেজন্য কয়েকটি অভ্যাস প্রতিদিন করা দরকার,যা মস্তিষ্ককে দ্রুত ছোটাতে সক্ষম। এই ব্যায়ামগুলি করলে শিশু থেকে বয়স্কদের মেধাশক্তি বাড়বে।
১। পাজল গেম- পাজল গেম বা ধাঁধার চর্চা করলে অ্যালজাইমার্সের ঝুঁকি কমে। সংবাদপত্রের শব্দছক খেলতে পারে। চেষ্টা করে দেখতে পারেন সুডোকু গেমও। এই খেলাগুলি খেলতে গিয়ে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। এটি মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী ব্যায়াম।
২। দৈনন্দিন কাজে অন্য হাত ব্যবহার- সাধারণত ডান হাতের ব্যবহারই বেশি করে মানুষ। বাঁ হাতের মানুষজনও রয়েছেন। তবে সংখ্যায় কম। মস্তিষ্কের ব্যায়ামে হাতের ব্যবহারের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই আপনি যদি ডান হাতি হন সেক্ষেত্রে ব্রাশ করা বা চুল আঁচড়ানোর মতো সাধারণ কাজে বাঁ হাত ব্যবহার করুন। অর্থাৎ যে হাত নিয়ে সব কাজ করেন, তার বিপরীত হাতও সচল করতে শিখুন। এতে মস্তিষ্কে সুপ্রভাব পড়ে।
৩। মাঝে মাঝে সকালের রুটিন বদল-মাঝে মাঝে ব্রাশ করার আগে চা বা কফি পান করুন। আবার ব্রাশের আগে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে উল্টোটা করুন। এতে মস্তিষ্ক সাড়া দেয়।
৪। চোখ বন্ধ করে কাজ করুন- দৈনন্দিন কয়েকটি কাজ যেমন খাবার বা জুস তৈরি করার সময় চোখ বন্ধ করে নিন। তবে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনও ছোটখাট কাজ স্পর্শের উপর নির্ভর করে করতে হবে। এর ফলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে যা সাধারণত নিষ্ক্রিয় থাকে।
৫। নতুন ভাষা শিখুন- নতুন ভাষা শিখলেও মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। প্রতিদিন এর জন্য কিছু সময় দিন। আপনার আগ্রহের যে কোনও ভাষা শেখা শুরু করুন। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বহুভাষিক যাঁরা হন তাঁদের যুক্তি শক্তি শাণিত হয়।
৬। মেলামেশা- প্রতিদিন নতুন কারও সঙ্গে আলাপ জমান। গবেষণা বলছে, কম কথা বললে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা কমে। তাই অপরিচিত এবং পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যতটা সম্ভব কথা বলুন। বিয়েবাড়ি বা কোনও অনুষ্ঠানে গেলেও কারও সঙ্গে আলাপ জমান। মন ভাল থাকবে। আর মস্তিষ্কও।
আরও পড়ুন- বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের এই ৫ অভ্যাস থাকেই, মিলিয়ে নিন তো