নানা ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পুরুষদের পাশাপাশি এখন মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন মারণ রোগে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যানও বলছে আগের চেয়ে বেড়েছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। ক্যানসার ঠেকাতে তাই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। সেজন্য ডায়েটে রাখতে হবে কয়েকটি ফল যা কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি।
মুখের ক্যানসার, স্তন ক্যানসার ক্রমবর্ধমান। সময় থাকতেই তাই ক্যানসার ঠেকাতে ডায়েটে পরিবর্তন জরুরি। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা। মেয়েদের মধ্যে স্তন ক্যানসার এবং ছেলেদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এই হারে ক্যানসার বাড়লে আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রতি ঘরে এক জন করে ক্যানসার থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরে অতিরিক্ত খেলে, ময়দা, অতিরিক্ত চিনি ক্যানসারের শঙ্কা বাড়ায়। ওজন বৃদ্ধিও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যে খাবারগুলি খাবেন ক্যানসার মোকাবিলায়-
ব্রকোলি- ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল সালফোরাফেন রয়েছে। যা ক্য়ানসার প্রতিরোধী। পুরুষদের মধ্যে বেড়েছে প্রস্টেট ক্যানসার। যা ঠেকাতে দরকার ব্রকোলি। এছাড়া মহিলাদের স্তন ক্যানসার এবং পুরুষদের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
আরও পড়ুন- গরমে রাস্তাঘাটে মেলে এই পানীয়, বিপাক বাড়িয়ে দূর করে দূষিত পদার্থ
আপেল- প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে সুস্থ হওয়া যায়। আপেলে থাকে পলিফেনলস। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষগুলিকে প্রতিরোধ করে। সেগুলিকে মেরে ফেলে। হার্টের রোগ দূর করতেও রোজ খেতে হবে আপেল।
ড্রাইফ্রুটস- ড্রাইফ্রুটসে কমে ক্য়ানসারের ঝুঁকি। এর মধ্যে আখরোট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। আখরোটে রয়েছে সেলেনিয়াম নামক উপাদান। যা কমায় প্রস্টেট ক্যানসারের শঙ্কা। কাজুতে প্রোটিন এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়। যা ক্ষতিকর বিকিরণ এবং বিষাক্ত পদার্থকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
গাজর- গাজরেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। স্তন ক্যানসার, মুখের ক্যানসার, মূত্রাশয়ের ক্যানসারের শঙ্কা দূর করে গাজরে থাকা উপাদান।
আরও পড়ুন- নারী-পুরুষ প্রস্রাবের সময় এই ৫ ভুল করছেন না তো? গুরুতর অসুখের ঝুঁকি
বেদানা- বেদানায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই ফল পলিফেনল সমৃদ্ধ। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন একটি করে বেদানা খান।
বিটরুট- বিটরুটে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
টমেটো- টমেটোয় লাইকোপিন পাওয়া যায়। যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর। তাই রান্নায় টমেটো রাখা উচিত।
কমলা লেবু- কমলা খেলে কমে ক্যানসার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা শরীরের জন্য খুবই কার্যকর।
বেরিজ- ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে বেরি জাতীয় ফল দারুণ কার্যকর। এই ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।