শীত মানেই নলেন গুড়। সেই সঙ্গে ফুলকপি। এই মরসুমে ফুলকপি আর আলুর তরকারি বাড়ি বাড়ি হয়। আবার গোবিন্দ ভোগের চালের খিচুড়িতেও দেওয়া হয় ফুলকপি। শীতে ফুলকপির নানা পদ খাওয়া হয় বাংলায়। ফুলকপি খেতেও ভাল আবার স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। ফুলকপি খেতে ভালবাসেন না এমন ব্যক্তি সচরাচর পাওয়া যায় না। তবে ফুলকপি সবার জন্য হিতকর নয়।
ফুলকপির পুষ্টিগুণ বিবিধ। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ফ্লোরাইডের মতো উপাদান। হাড় এবং দাঁতের জন্য দারুণ কার্যকর। শীতকালে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পুষিয়ে দেয় ফুলকপি। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন নামে উপাদান হৃদ্রোগের মোকাবিলায় কার্যকারী। এছাড়া এতে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন বি, সি, এবং কে । এগুলি বাড়ায় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য কাজে লাগে। সুস্থ থাকতে শীতে পাতে রাখুন এই সবজি। তবে সবার জন্য ফুলকপি সমান উপকারী নয়। গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় এড়িয়ে চলুন ফুলকপি। আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে ফুলকপি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
পেটের সমস্যা- যাঁদের প্রায়ই পেটের সমস্যা হয় যেমন গ্যাস এবং পেট ফাঁপা, তাঁদের ফুলকপি এড়িয়ে চলা উচিত। একান্তই খেতে হলে সীমিত পরিমাণ খান। আর নইলে ভাপিয়ে নিতে পারেন।
ইউরিক অ্যাসিড- শরীরে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে ফুলকপি এড়িয়ে চলুন। ফুলকপিতে থাকে পিউরিন,যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়।
অ্যালার্জি - বদহজম এবং গ্যাস ছাড়াও ফুলকপি খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ফুলকপি পাতে রাখবেন না।
থাইরয়েড- ফুলকপি টি-৩ এবং টি-৪ হরমোন বাড়াতে পারে। এ কারণে থাইরয়েড রোগীদের ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
উচ্চ রক্তচাপ- ফুলকপিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। পটাশিয়াম রক্তকে ঘন করে তোলে। এমনকি জমাট বেঁধে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাঁরা বাদ দিন।
আরও পড়ুন- বেড়েছে গাঁটের ব্যথা? শীতের এই ৫ খাবারেই জব্দ হবে ইউরিক অ্যাসিড