কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন যা, সকলের শরীরে থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে কোলাজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের অনেক অংশে পাওয়া যায়, যেমন চর্বি, গাঁট, লিগামেন্ট ইত্যাদি। এটি ত্বক, নখ এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। শরীর স্বাভাবিকভাবেই কোলাজেন তৈরি করে, তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন কমতে থাকে। বিশেষত ৩০ বছর বয়সের পরে এই সমস্যা হতে শুরু করে। তখন বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জানুন কেন ৩০ বছর বয়সের পরে কেন কোলাজেন গ্রহণ করা উচিত।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশন বজায় রাখার জন্য দায়ী। শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন কমতে শুরু করলে, মুখে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা দেখা দিতে থাকে এবং ত্বকও খুব আলগা হয়ে যায়। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কোলাজেন অন্তর্ভুক্ত করে, ত্বকের যত্ন নিতে পারেন এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমানো সম্ভব।
মজবুত চুল ও নখ
চুল ও নখের জন্য কোলাজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কম থাকায় নখ সহজে ভাঙতে শুরু করে এবং চুলও খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। কোলাজেন গ্রহণ করলে চুল ও নখ সুস্থ থাকে।
গাঁটের সমস্যা
কোলাজেন তরুণাস্থির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করা হয়। এটি শরীরের জয়েন্টগুলি রক্ষা করতে কাজ করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরুণাস্থি শক্ত হতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে কোলাজেন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি
হাড়েও কোলাজেন পাওয়া যায়। এটি হাড়ের গঠন ঠিক রাখে এবং শক্তিশালী করে। ৩০ বছর বয়সের পরে, হাড়ের ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে কোলাজেন গ্রহণ করে হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করা সম্ভব।
পাকস্থলীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ
কোলাজেনে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা, পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে, যা হজমের সমস্যা হতে পারে। কোলাজেন গ্রহণের ফলে অন্ত্র সুস্থ থাকে এবং হজমও ঠিক মতো হয়।