Advertisement

Answer About Marriage: ‘বয়স তো হচ্ছে, কবে বিয়ে করবে?’ প্রশ্নে জেরবার হলে মোক্ষম কয়েকটি জবাব রইল...

এখনও উৎসবের মরসুম চলছে। সামনেই প্রচুর বিয়ের তারিখ। কিন্তু অনেকের বিভিন্ন উৎসবের আনন্দটাই মাটি হয়ে যাচ্ছে পরিচিত বা আত্মীয়স্বজনের উটকো কিছু প্রশ্ন, ‘বয়স তো পেরিয়ে যাচ্ছে, কবে বিয়ে করবে?’ ‘কেন বিয়ে করছ না?’ ‘কেন নিজেকে বঞ্চিত রাখবে?’ প্রশ্নের যেন শেষ নেই।

ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 23 Nov 2023,
  • अपडेटेड 4:37 PM IST
  • এখনও উৎসবের মরসুম চলছে।
  • সামনেই প্রচুর বিয়ের তারিখ।

এখনও উৎসবের মরসুম চলছে। সামনেই প্রচুর বিয়ের তারিখ। কিন্তু অনেকের বিভিন্ন উৎসবের আনন্দটাই মাটি হয়ে যাচ্ছে পরিচিত বা আত্মীয়স্বজনের উটকো কিছু প্রশ্ন, ‘বয়স তো পেরিয়ে যাচ্ছে, কবে বিয়ে করবে?’ ‘কেন বিয়ে করছ না?’ ‘কেন নিজেকে বঞ্চিত রাখবে?’ প্রশ্নের যেন শেষ নেই।

বহুদিনের পরিচিত হোক কিংবা স্বল্পপরিচিত, যাঁরই ইচ্ছা হচ্ছে, বিয়ের মতো বিষয় নিয়ে হুটহাট প্রশ্ন করে চলেছেন। বিয়ে না হওয়াটা যেন বিরাট অপরাধ। বিশেষ করে অবিবাহিত নারীর প্রতি সমাজের আচরণ অনেকটাই নেতিবাচক। অনেক ক্ষেত্রে নারীর পেশাকে এর জন্য দায়ী করা হয়। একজন মানুষের অনেক কারণেই বিয়ে না হতে পারে। ব্যক্তিগত এসব বিষয় নিয়ে কথা না বলাই সৌজন্যতা।

যা করবেন
প্রাণ ভরে জীবনকে উপভোগ করুন। নিজের ভালো লাগার কাজ করুন। অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করুন। নিজের সুস্থতার বিষয়ে সচেতন থাকুন। নিজের যত্ন নিন। মনে রাখবেন, অবিবাহিত থাকাটা ‘দোষ’ নয়। সামাজিক আয়োজন বা পারিবারিক মিলনমেলায় কটু কথা শুনতে হলেও এমন আয়োজন এড়িয়ে যাবেন না।

বিয়ে প্রসঙ্গে কেউ নেতিবাচক কথা বললে চুপ থাকবেন না। বিরক্তিও প্রকাশ করবেন না। বাদানুবাদে জড়াবেন না। হালকা কথায় প্রসঙ্গটি শেষ করে দিতে চেষ্টা করুন। বলতে পারেন, ‘সুখবর এলে তো আপনারা জানবেনই।’ নাছোড়বান্দা কেউ কথা চালিয়ে যেতে চাইলে বলে দিন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন। ওই মুহূর্তে হয়তো আপনি কোনও কাজে আছেন কিংবা কোনও অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। সেটির দিকেই স্থির রাখুন নিজের মনকে।

পরিচিতজনেরা যা করতে পারেন
আপনার সামনে কেউ যদি অবিবাহিত ব্যক্তিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেন, আপনি তাঁদের আলাপের প্রসঙ্গটাই পালটে দিতে পারেন ঝটপট। আর আপনার পরিচিত অবিবাহিত মানুষটি যদি তাঁর একলা জীবন নিয়ে নৈরাশ্যে ভোগেন, তাঁর জন্য আলাদাভাবে ইতিবাচক কিছু করতে পারেন, তাঁর অনুমতি নিয়ে তাঁর জন্য একজন জীবনসঙ্গী খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন।

Advertisement

বাজার, রান্নাবান্না কিংবা অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন হলে সেদিক থেকেও সাহায্য করতে পারেন। মাঝেমধ্যে তাঁকে আপনার বাড়ির আড্ডায় আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। কল্যাণকর সামাজিক কাজে তাঁকে যুক্ত করে নিন। রোজ একসঙ্গে শরীরচর্চাও করতে পারেন। কেউ হতাশ হয়ে পড়লে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন, বিয়ে নিয়ে হতাশার কিছু নেই। এটি জীবনেরই একটি অংশ। বিয়ের ওপর কখনোই পুরো জীবনটা নির্ভর করে না।

তবে অবিবাহিত মানুষটি যদি একলা জীবন উপভোগ করেন, একলা থাকতেই পছন্দ করেন, তাহলে তাঁর জন্য যেচে বাড়তি কিছু করতে না যাওয়াই ভালো। আপনি যদি অন্যের জীবনের প্রতি সম্মান না রাখতে পারেন, তাহলে আপনার নিজের সম্মানটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, ভেবে দেখবেন একবার অবশ্যই।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement