শীতকাল চলে গিয়ে ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা পারদ। সামনেই গরমের ভরা মরশুম। এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে আমরা যেমন চুল ও ত্বকের যত্ন নিই, তেমনই চোখেরও যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে চোখে কনজাংটিভাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই রোগে চোখ লাল হয়ে যায়, জল বের হতে থাকে এবং ক্রাস্ট ও স্লাইমও বের হয় (Conjunctivitis Symptoms)। মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে কনজাংটিভাইটিস। তবে ঠাণ্ডা ও গরমের কারণেও এটি হয়ে থাকে। এছাড়া কন্টাক্ট লেন্স, ধোঁয়া-ধুলো-ময়লার কারণ কখনও কখনও এই রোগ হয়। চলুন বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কনজাংটিভাইটিসের কারণ... (Conjunctivitis Reason)
এটি একটি সংক্রামক রোগ। তাই কনজাংটিভাইটিস হয়েছে এমন কারও সংস্পর্শে এলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও, কোনও জিনিসে যদি অ্যালার্জি থাকে এবং কোনওভাবে যদি সেটির সংস্পর্শে আসা হয়, তাহলে হতে পারে কনজাংটিভাইটিস।
রক্ষার উপায়... (Conjunctivitis Prevention)
চোখে কনজাংটিভাইটিস হলে বেশ কষ্ট পেতে হয়। কারণ এতে চোখ লাল হয়ে যায় ও জল পড়তে থাকে। তাই চোখে যদি কনজাংটিভাইটিস হয় তাহলে, উজ্জ্বল আলো বা চড়া রোদে খালি চোখে বাইরে যাওয়া ঠিক নয়। বাইরে গেলে সানগ্লাস পরতে পারেন। পাশাপাশি সংক্রমণ যাতে আরও বেড়ে না যায়, তার জন্য কোনও কিছু সংস্পর্শে এলে হাত ধুয়ে নিন। অন্যদের থেকেও থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ মনে রাখবেন এটি একটি সংক্রামক রোগ।
যা যা করতে হবে...
কারও কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা হলে প্রত্যেকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। নইলে এটি সংক্রমিত হতে পারে অন্যদের মধ্যেও। একইসঙ্গে এই সময় রোগীর কোনও জিনিস অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করাও উচিত নয়। এছাড়া কনজাংটিভাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণই হল চোখে প্রচণ্ড ব্যথা। তাই চোখে যদি অত্যধিক ব্যথা-যন্ত্রণা অনুভব করেন তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন (Conjunctivitis Treatment)।