কোষ্ঠকাঠিন্যে আজকাল অনেকেই ভোগেন। এটি এমন একটি রোগ যা উপেক্ষা করলে বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই এই রোগ থেকে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। জাঙ্ক ফুড খাওয়া, অ্যালকোহল পান করা, খাবারে ফাইবারের অভাব, জল কম খাওয়া, বেশি মাংস খাওয়া, সিগারেট খাওয়া ইত্যাদি কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া শারীরিক পরিশ্রম না হলেও হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে পাইলসের মতো মারাত্মক রোগের জন্ম হয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে এটি এড়ানো সম্ভব।
ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার ক্ষেত্রে, ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত। বরং ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণ করা উচিত যা, শরীরের ক্ষতি করবে না। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ দূর হবে মূল থেকে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, তবে প্রচুর পরিমাণে তরল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ পদার্থ খাওয়া উচিত।
তাজা রান্না করা খাবার খান
যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাঁদের সবসময় তাজা রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। গরম খাবার, গরম পানীয় এবং ভালোভাবে রান্না করা শাকসবজি খান। সবজিতে তেল মশলার ব্যবহার কমিয়ে দিন।
ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ত্রিফলা বিশেষভাবে সাহায্য করে। ত্রিফলায় গ্লাইকোসাইড থাকে। যার মধ্যে রেচক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এটি গরম জল মিশিয়ে চা বানাতে পারেন। এক-চতুর্থাংশ চা-চামচ ত্রিফলা, আধা চা-চামচ ধনে বীজ এবং এক-চতুর্থাংশ চা-চামচ এলাচও মেশাতে পারেন। এগুলো একসঙ্গে পিষে জলে মিশিয়ে পান করুন, তাতে বেশি উপকার হবে।
ভাজা মৌরিও উপকারী
যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তাহলে এক গ্লাস গরম জল নিয়ে তাতে এক চামচ ভাজা ও মৌরি মিশিয়ে পান করুন। এটি হজম প্রক্রিয়াকে মজবুত করে।
বেলের সরবৎ
বেলের মধ্যে রেচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে আধ কাপ বেলের শরবত বা বেল গুড়ের সঙ্গে এক চামচ করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা মিলিয়ে যাবে এই এক ড্রাই ফ্রুটেই, কতটা খাবেন?