শীত বিদায় হয়ে গিয়েছে। গরম পোশাকও আর তেমন লাগছে না। কিন্তু পা ফাটা রয়ে গিয়েছে। ক্রিম লাগিয়ে কাজ হচ্ছে না? এড়িয়ে যাবেন না এমন সমস্যা। কারণ এটাই ভবিষ্যতে বড় আকার নিতে পারে। ভিটামিনের অভাবেই পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়। যেমন, ভিটামিন ডি-র অভাবে কমজোর হয় দাঁত ও হাড়। আবার ঠোঁট ফাটা ও দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত ভিটামিন সি-র অভাবে হয়।
অনেকেরই শীত চলে গেলেও পা ফাটার সমস্যা যায় না। সম্বৎসর ফাটা পা নিয়েই চলতে হয় তাঁদের। এতে খালি পায়ে লোকসমাজে যেতে অস্বস্তি হয়, আবার ভবিষ্যতে বড় অসুখ বাধানোর বিপদও থাকে। ঠিক মতো ত্বকের পরিচর্যা না করলে পা ফাটা থেকে যায় সারাবছর। আর একটা কারণ ভিটামিনের অভাব।
ভিটামিন সি, ই আর বি৩ ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কাজে দেয়। শরীরে এই ভিটামিনগুলির অভাব হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে ফাটা পায়ের সমস্যা শুধু শীতকালেই নয় সম্বৎসর হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে ভিটামিনের অভাব। শীঘ্রই ডাক্তার দেখান।
ভিটামিন বি৩- ত্বক ও মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত দরকারি ভিটামিন বি৩। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব থাকলে পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়। এছাড়া সূর্যের আলো ত্বকে পড়লে চুলকানি শুরু হয়।
ভিটামিন সি -ত্বক ও দাঁতের মাড়ির জন্য অত্যন্ত দরকারি ভিটামিন সি। এর অভাব হলে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। এছাড়া রক্তাল্পতা, চুল পড়ে যাওয়া এবং ক্লান্তিভাবের মতো সমস্যায় জর্জরিত হন মানুষ।
ভিটামিন ই- ভিটামিন ই প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে দৃঢ় করে। কোষে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতিকে সচল রাখতে কার্যকর এই ভিটামিন। শরীরে ভিটামিন ই কম থাকলে কমজোর, শুষ্ক ত্বক এবং সময়ের আগে বার্ধক্য় চলে আসে।
কীভাবে ফাটা পায়ের উপশম?
ফাটা পায়ে নিয়মিত ধুয়ে তৈলাক্ত ক্রিম লাগান। প্রতিদিন বেশি করে জল খান। রাতে শোয়ার আগে পা ভাল করে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমান। তাতেও উপশম না হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
আরও পড়ুন- রাতে ঘুম আসে না? এই উপায়ে মাত্র ১ মিনিটেই আসবে আপনার ঘুম