Advertisement

দার্জিলিং বন্ধ, সিকিম খোলা, উত্তরের পর্যটন বাঁচাচ্ছে এখন শৈলরাজ্য

এ রাজ্যের পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সুযোগ নিচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। অনেকেই সিকিম খোলা থাকার সুযোগ নিয়ে দার্জিলিং এর আগাম বুকিং বাতিল করে গ্যাংটক, পেলিং, নাথুলা, ছাঙ্গু, লাচুং, লাচেন, গুরুডোংমার যাওয়ার জন্য বুকিং করছেন। ফলে দার্জিলিং বরবাদ হলেও আবাদ হচ্ছে সিকিম।

পর্যটন এখন সিকিমমুখীপর্যটন এখন সিকিমমুখী
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 10 Jan 2022,
  • अपडेटेड 10:43 AM IST
  • দার্জিলিং সহ ডুয়ার্সের পর্যটন বন্ধ
  • খোলা রয়েছে সিকিম
  • পর্যটন সার্কিটকে রক্ষা করছে শৈলরাজ্য

এর আগের দু'দফায় করোনায় সমস্যায় পড়েছিল সিকিম। রাজ্যে ঢোকার রাস্তা সিল করে দিয়ে নিশ্ছিদ্র লকডাউনের করে পরে হাত কামড়াতে হয়েছিল। পর্যটনের ওপর নির্ভর রাজ্য পর্যটন বন্ধ করে আয়ের সবচেয়ে বড় রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপরও অবশ্য রোখা যায়নি করোনা।

আর নিষেধাজ্ঞা নয়

শিলিগুড়ি থেকে খাবার, ওষুধ সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে তো নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়নি। তাই বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরো তো ছিলই, তার উপর রাজ্যের অভ্যন্তরের বণিকমহল ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের চাপ পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও ছিল প্রেম সিং গোলে (তামাং) সরকারের বিরুদ্ধে। তাই এবার ওমিক্রনের বাড়াবাড়ির পরও তাঁরা আর সাহস পায়নি নিশ্ছিদ্র লকডাউন করার।

আরও পড়ুন

সবার শর্তসাপেক্ষে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি

যেটুকু করতে পারত সরকার সেটুকুই করা হয়েছে। অর্থাৎ আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বহিরাগতদের ক্ষেত্রে। বিদেশীদের ক্ষেত্রে দেশে সাতদিন থেকে তারপর সিকিমে ঢোকার অনুমতি মিলবে। অন্যদিকে শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি চালকদের নিয়ে গেলে তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। আসলে টিকা দিয়েও যে করোনা রোখা যাবে না, করোনার শেষ কোথায় কেউ জানে না। সুতরাং শেষমেষ বাধ্য হয়েই নিজেদের সিদ্ধান্তের তেতোবড়ি গিলতে হয়েছে তাঁদের।

দার্জিলিং বাদ, সিকিম আবাদ

এ রাজ্যের পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সুযোগও নিতে চাইছে প্রতিবেশী রাজ্যটি। অনেকেই সিকিম খোলা থাকার সুযোগ নিয়ে দার্জিলিং এর বুকিং বাতিল করে গ্যাংটক, পেলিং, নাথুলা, ছাঙ্গু, লাচুং, লাচেন, গুরুডোংমার যাওয়ার জন্য বুকিং করছেন। সুযোগ দুহাত বাড়িয়ে ধরছে সিকিম। পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিলেও, কোভিড বিধি মেনে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে চালাতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

সিকিম নিয়ে আশাবাদী সার্কিট

সিকিমের পর্যটন খোলা থাকায় কিছুটা হলেও আয় করতে পারছে পর্যটন সার্কিট। গাড়িচালক, পর্যটন ব্যবসায়ীরা অন্তত কিছু বুকিং চালু রেখে খরচটুকু ওঠাতে পারছেন। পাশাপাশি এ রাজ্যের পর্যটন শর্তসাপেক্ষে খোলার পক্ষেও সওয়াল করেছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যাল, তাপস রায়, পার্থ গুহরা। পর্যটন একটা বড় আয়ের জায়গা। সেটাকে আরও স্পর্শকাতরভাবে চালানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি যত দ্রুত এগুলি বিধি মেনে চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে, ততই ভালো বলে মত তাঁদের।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement