Advertisement

একদিনে ৪ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেন ভারতের এই বডিবিল্ডার, কীভাবে?

Aajtak.in-কে দীপক নন্দা বলেন, "আমার শৈশব কেটেছে অনেক সংগ্রামের মধ্যে। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের। আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি, তখন দোকানে চা-জল দেওয়ার কাজ করতাম এবং তারপর স্কুলে যেতাম। তখন প্রতিদিন ৫০ টাকা পেতাম। পড়াশুনা শেষ করার সঙ্গেই সঙ্গেই সেলসম্যানের চাকরি পেলাম। মাসে ৫ হাজার টাকা পেতাম। আমি স্কুল থেকেই ফিট থাকার জন্য ব্যায়াম করতাম। কিন্তু আমি কখনওই বডি বিল্ডিংয়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি। অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পর মলে চাকরি পাই। সেই সময় আমার জীবনে রূপাল আসে। সেখান থেকেই ফিটনেস যাত্রা শুরু হয়। কারণ রূপাল আমাকে ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছল এবং বলেছিল আমি এই ক্ষেত্রে নাম করতে পারি।" 

দীপক নন্দা (ইন্ডিয়ান রক)দীপক নন্দা (ইন্ডিয়ান রক)
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 03 Nov 2022,
  • अपडेटेड 2:28 PM IST
  • বডি বিল্ডিং খুব কঠিন খেলা
  • দীপক নন্দা একজন ভারতীয় বডি বিল্ডার
  • জানুন তাঁর সংগ্রামের কাহিনি

বলি বিল্ডিং বিশ্বের একটি অন্যতম কঠিন খেলা। সারা বিশ্বে বহু নামজাদা বডি বিল্ডারও রয়েছেন। বিশ্বের বিখ্যাত বডি বিল্ডারদের কথা উঠলে প্রথমেই যে নামগুলি মনে পড়ে সেগুলি হল আর্নল্ড সোয়ার্জনেগার, রনি কোলম্যান, ফিল হিথ প্রমুখ। আবার ভারতেও খুব বিখ্যাত বিখ্যাত বডি বিল্ডার রয়েছেন। কেউ কেউ শখে বডি বিল্ডিং করেন। কেউ কেউ বডি বিল্ডিং করেন পেশাগতভাবে। 

তেমনই এক ভারতীয় বডি বিল্ডার হলেন দীপক নন্দা (Deepak Nanda Bodybuilder)। অনেকে দীপক নন্দাকে 'ইন্ডিয়ান রক' (Indian Rock) নামেও চেনেন। কারণ তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং চেহারা অনেকটাই WWE ফাইটার রক অর্থাৎ ডোয়াইন জনসনের মতো। Aajtak.in-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, দীপক তাঁর বডি বিল্ডিং-এর যাত্রা ও লড়াইয়ের কাহিনি শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন কীভাবে তিনি একজন সেলস ম্যান থেকে হয়ে উঠেছেন বডি বিল্ডার। সম্প্রতি মুম্বাইতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বডিবিল্ডিং শো 'অ্যামেচার অলিম্পিয়া আইএফবিবি প্রো শো'-তে 'ওভার অল ইন ক্লাসিক' বিভাগে IFBB প্রো কার্ড জিতেছেন তিনি। 

দীপকের লড়াই 
Aajtak.in-কে দীপক বলেন, "আমার শৈশব কেটেছে অনেক সংগ্রামের মধ্যে। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের। আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি, তখন দোকানে চা-জল দেওয়ার কাজ করতাম এবং তারপর স্কুলে যেতাম। তখন প্রতিদিন ৫০ টাকা পেতাম। পড়াশুনা শেষ করার সঙ্গেই সঙ্গেই সেলসম্যানের চাকরি পেলাম। মাসে ৫ হাজার টাকা পেতাম। আমি স্কুল থেকেই ফিট থাকার জন্য ব্যায়াম করতাম। কিন্তু আমি কখনওই বডি বিল্ডিংয়ে যাওয়ার কথা ভাবিনি। অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পর মলে চাকরি পাই। সেই সময় আমার জীবনে রূপাল আসে। সেখান থেকেই ফিটনেস যাত্রা শুরু হয়। কারণ রূপাল আমাকে ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছল এবং বলেছিল আমি এই ক্ষেত্রে নাম করতে পারি।" 

আরও পড়ুন

দীপক বলেন, "আমার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। প্রো কার্ডের জন্য আমি A ক্যাটাগরির প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমার ওজন ছিল ৯৩ কেজি। কিন্তু আকস্মিক প্রতিযোগিতার একদিন আগে আমি জানতে পারি যে আমার নাম B ক্যাটাগরিতে রয়েছে। যার জন্য আমার ওজন ৮৯ কেজি হওয়া উচিত। এর পর আমার প্রশিক্ষক আমার শরীর দেখে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং পরেরদিন সকালে আমার ওজন 89 কেজি হয়ে যায়। আসলে, তিনি আমাকে পেট ভরে ভাত খাওয়ালেন এবং আমাকে জল খেতে দেননি। তাতে ভাত আমার শরীর থেকে সব পানি শুষে নেয় এবং ওজন কমে যায়।"

Advertisement

দীপক আরও বলেন, "যে কোনও পেশাদার বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতে হবে। একটি ভুল খাবার শরীরকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। ব্যায়াম করার সময় যদি আমার ব্যথা হয় তবে আমি ট্যাবলেটও খেতে পারতাম না কারণ ট্যাবলেট শরীরে জল ধরে রাখে। এই কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যখন আমি জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কাটিং করেছিলাম, তখন কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়েছিলাম এবং প্রোটিনে পরিমাণ বাড়িয়েছিলাম। কাটিংয়ের সময় আমি প্রায় ২ কেজি মুরগি, ১০টি ডিম এবং প্রায় ৯০০-১০০০ গ্রাম চাল খেতাম। সবুজ শাকসবজি, চিয়া বীজ, ওটসও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমি এই খাবারটি ৬ বার খেতাম।" 


 

Read more!
Advertisement
Advertisement