খারাপ জীবনধারা থাকলে ডায়াবেটিস (Diabetes) প্রথম রোগের একটি। এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ (BP), স্থূলতাও আসে। একবার ডায়াবেটিস হলে তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রক্তে ইনসুলিন (Insulin) নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন একটি বড়ি খেতে হয়। তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও (Home Remedies) আছে। এগুলো অবলম্বন করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো যায়। ডায়াবেটিস কী এবং কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা বোঝার চেষ্টা করবে।
প্রথমে বুঝুন, ডায়াবেটিস কেন হয়
আসলে, ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এখন এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা কী? এটা জানা জরুরি। শরীরে প্যানক্রিয়াস নামে একটি গ্রন্থি আছে। এটি ইনসুলিন হরমোন তৈরিতে কাজ করে। ইনসুলিনের কাজ হল রক্তে প্রবাহিত গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু যখন প্যানক্রিয়াস ইনসুলিনের উৎপাদন কমায় বা বন্ধ করে দেয়, তখন এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটায়। এখানেই ডায়াবেটিস রোগের জন্ম হয়।
উদ্ধারের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার কী কী
করলার রস
করলাতে চারাটিন এবং মোমরডিসিন পাওয়া যায়। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে করলার রস খাওয়া খুবই উপকারী। প্রতিদিন করলার তরকারি খেলেও ডায়াবেটিসে উপকার মেলে।
জাম
জামের হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানা যায়। এর বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে কাজ করে। এক গ্লাসে এক চামচ জাম বীজের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে তা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি খালি পেটে খাওয়া উচিত।
আদা খাওয়া
আদা গুণের খনি। এটি যেখানে গলা ব্যথা, কাশিতে আরাম দেয়। সেই সঙ্গে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে আদা। একটি পাত্রে এক কাপ জল ও এক টুকরো আদা ফুটিয়ে খেলে দারুণ উপকার মিলবে।
নিম
ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্রাইটারপেনয়েড, অ্যান্টিভাইরাল পদার্থ এবং গ্লাইকোসাইড পাওয়া যায় নিমে। এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। নিমের কিছু শুকনো পাতা ভাল করে পিষে নিতে হবে। দিনে দুবার জলে মিশিয়ে এই গুঁড়ো খেতে পারেন। ডায়াবেটিস একটি জীবনধারা সম্পর্কিত রোগ। খারাপ জীবনধারার লোকেরা খুব দ্রুত এই রোগে আক্রান্ত হয়। কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।