Advertisement

Dog Bite Immediate Action: রাস্তায় কুকুর কামড়ালে প্রথমেই কী করতে হয়? জানা থাকলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব

Dog Biting: বাড়ির পোষ্যর সাধারণভাবে টিকা দেওয়া থাকে। কিন্তু পথকুকুরদের টিকা দেওয়া থাকে না। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ কুকুর কামড়ালে, মানুষ বেশীরভাগ সময় বুঝতে পারেন না কী করা উচিত। 

কুকুরকুকুর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Aug 2025,
  • अपडेटेड 12:08 PM IST

প্রাণীদের বোঝার ক্ষমতা মানুষের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে কুকুররা তাদের মালিকের কথা বুঝতে পারে। কুকুররা মানুষের কথা শুনে সব কিছু বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করে। এরা মালিকের সমস্যাগুলি জানে এবং মনে করা হয় যে, আগে থেকেই নেতিবাচক শক্তি অনুভব করার ক্ষমতা আছে কুকুরের। কিন্তু পথকুকুরদের আচরণ অনেক সময় বোঝা মুশকিল। 

বাড়ির পোষ্যর সাধারণভাবে টিকা দেওয়া থাকে। কিন্তু পথকুকুরদের টিকা দেওয়া থাকে না। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ কুকুর কামড়ালে, মানুষ বেশীরভাগ সময় বুঝতে পারেন না কী করা উচিত। 

কুকুর কামড়ালে র‌্যাবিস নামক এক ধরনের জীবাণু শরীরে যায়। যার থেকে তার থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। জলাতঙ্ক সহ অন্যান্য বিপদ এড়াতে, কুকুর কামড়ানোর পরেই কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এদিকে হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের কাছে যেতে সময় লাগে। জেনে নিন, তাহলে তখনই কী করবেন?

আরও পড়ুন

 

 

* শুরুতেই আক্রান্ত স্থানে ক্ষত ও রক্তপাতের তীব্রতা খেয়াল করতে হবে। কুকুরে কামড়ালে প্রথমে ক্ষতস্থান চেপে ধরুন, যেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ হয়। 

* যে অংশে কুকুর দাঁত বসিয়েছে বা কামড়েছে, সে জায়গাটি ভাল করে ধুয়ে নিন। গরম জল ব্যবহার করলে বেশি ভাল। কারণ এতে সব রকম জীবাণু ধুয়ে যাবে।

 * গরম জল না পাওয়া গেলে, টিউবয়েল বা কলের প্রবহমান জলের নিচে মিনিট দশেক ধরে ক্ষত পরিষ্কার করুন। যতটা সম্ভব আক্রান্ত স্থানকে উঁচু করে রাখার চেষ্টা করুন।

 * সম্ভব হলে আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিসেপ্টিক কোনও দ্রব্য লাগান। এর পর সেই অংশটি জীবাণুমুক্ত গজ কাপড় দিয়েব্যান্ডেজ করে রাখুন।

* বাড়িতে অ্যান্টিসেপ্টিক কিছু না থাকলে গোলমরিচ গুঁড়ো বা সর্ষের তেল লাগাতে পারেন। এতে জ্বালা করতে পারে। কিন্তু কষ্ট হলেও, বিষ নষ্ট হয়।

* এছাড়াও পেঁয়াজের রস, আখরোট বাটা, মধু আর নুন দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে, ক্ষতের জায়গায় লাগিয়ে, ব্যান্ডেজ করে রাখুন।

Advertisement

* আক্রান্ত স্থানে হলুদ বাটা দিতে পারেন। হলুদের অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ রয়েছে। যা তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থানের আশপাশে থাকা জীবাণু নষ্ট করতে পারে।

* ক্ষত পরিষ্কার হলে, দেরি না করে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে যান। 

*  ক্ষত স্থানে যেন ধুলো-বালি বা ময়লা না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ক্ষতস্থানে বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে পারেন।

* এই সময়কালে আক্রমণকারী কুকুরের দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। কামড়ানোর কিছু দিনের মধ্যে কুকুরটি মারা গেলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রয়োজনে বিষয়টি চিকিৎসককে অবগত করুন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement