গোলাপি রং। দেখতে ভারী অদ্ভূত। অথচ এই ফলের পুষ্টিগুণের কথা জানলে অবাক হয়ে যাবেন! সারা বিশ্বেই কদর রয়েছে ড্রাগন ফলের। জেলা সফরে বহরমপুর গিয়ে এই ফলের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাষ বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,'ড্রাগন ফলে প্রচুর খনিজ ও ভিটামিন আছে। এই ফলের খোসাও কাজে লাগে।' পুষ্টিবিদরাও বলছেন, ড্রাগন ফল খেলে কোলেস্টেরল, হার্ট, স্ট্রোকের সমস্যার থেকে মুক্তি মেলে।
কোলেস্টেরল এখন সকলের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য দায়ী এক জায়গায় বসে কাজ করা, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, মশলাদার খাবার খাওয়া। শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ার সমস্যা মোটেও হেলাফেলার নয়। কোলেস্টেরল শরীরের এমন বর্জ্য পদার্থ যা রক্তের শিরায় জমা হয়। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগ, স্নায়ুর রোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। খাবারে বেশি নুন এবং বেশি তেল খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যাঁদের ওজন বেশি এবং শরীরের ফ্যাট বেশি তাঁদের উচ্চ কোলেস্টেরল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। যা শরীরকে বিবিধ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধা প্রদান করে। চলুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফল খেলে শরীরে কী কী উপকার হয়-
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে- ক্রমবর্ধমান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনে খাওয়াদাওয়া। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে পাতে রাখুন ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলের মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান পাওয়া যায়। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
হজমের প্রতিকার- ড্রাগন ফল খেলে হজমের রোগ নিরাময় হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি হজমশক্তির বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি মেলে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ড্রাগন ফল খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মরসুমী অসুখ প্রতিরোধ করে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ফল খেলে শরীরে পুষ্টি জোগায়। রোগ প্রতিরোধ করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধে- আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের মতে, ড্রাগন ফল হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল হার্টকে সুস্থ রাখে। এই ফলের কালো বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা হার্টকে সুস্থ রাখে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে- ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পাশাপাশি বিটাসায়ানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। ডায়াবেটিস রোগীরা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ও শরীর সুস্থ রাখতে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
আরও পড়ুন- হার্টের সমস্যা ও অ্যাসিডিটির ফারাক কী? বললেন মমতা, দিলেন ডায়েট টিপস