দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। আর দুর্গাপুজো মানেই, হই হুল্লোর, ঠাকুর দেখা, একসঙ্গে আড্ডা ও জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। এক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে থাকে হোটেল বা রেস্তোরাঁ। কারণ ঠাকুর দেখতে গিয়ে পছন্দের হোটেল বা রেস্তোরাঁয় না খেলে ঠিক যেন ষোলো কলা পূর্ণ হয় না। তবে দুর্গাপুজো তথা উৎসব-পার্বনে হোটেলে-রেস্তোরাঁয় খেতে (Durga Puja Food) গেলে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন, নয়তো পড়তে পারেন সমস্যায়।
অর্ডার দিয়ে তাড়াহুড়ো নয় - পুজোর সময় ছোট থেকে বড় সমস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁতেই গ্রাহকদের কম-বেশি ভিড় থাকে। বিশেষত বড় বড় রেস্তোরাঁর কর্মীরা তো দম ফেলার ফুরসৎ পান না। তাই খেতে গিয়ে অর্ডার দেওয়ার পরেই তাড়া দিতে শুরু করবেন না বা সামান্য দেরি হলে হোটেল কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়বেন না। কারণ জানবেন, শুধু আপনি একা নন, আরও গ্রাহকদের সামলাতে হচ্ছে কর্মীদের। তাই ভাল খাবার পেতে ধৈর্য্য রাখুন।
মদ্যপ অবস্থায় রেস্তোরাঁয় যাবেন না - অনেকেই অনেক সময় মদ্যপান করে রেস্তোরাঁয় খেতে যান। কোনও কোনও সময় রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেও করে ফেলেন। তাই এমন আচরণ করবেন না। তাছাড়া সেখানে অন্যান্য গ্রাহকরাও থাকবেন। মদ্যপ অবস্থায় আপনার আচরণ তাঁদের কাছেও বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
প্রচুর ছবি নয় - রেস্তোরাঁয় গিয়ে ছবি তোলা অনেকেরই অভ্যাস। তবে দেখবেন আপনার আনন্দ যেন অন্যের অসুবিধার কারণ না হয়ে ওঠে। কারণ ক্যামেরার ফ্ল্যাশে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে। তাই সেই দিকটি মাথায় রাখবেন।
শোরগোল ও প্লেটে আওয়াজ নয় - বন্ধুবান্ধবরা একসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে অনেক সময়ই আনন্দ উচ্ছ্বাসের বশবর্তী হয়ে অতিমাত্রায় চিৎকার চেঁচামেচি করে ফেলেন। অনেকের আবার খাবার সময় প্লেটে ছুরি-চামচের শব্দ হয়। তবে মনে রাখবেন এগুলি টেবল ম্যানারের মধ্যে পড়ে না। তাই খাবার সময় এগুলি মাথায় রাখুন।
খাবারের গুণমান দেখে নিন - পুজোয় সময় অনেক অস্থায়ী ফুড স্টল গড়ে ওঠে। কোনও কোনও অস্থায়ী ফুড স্টলের খাবারের গুণমান খুবই ভাল। তবে কোথাও কোখাও খাবারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই পুজোয় খাওয়াদাওয়া করতে এমন কোনও জায়গা বেছে নিন যেটি বিশ্বস্ত। আর যদি অস্থায়ী কোনও দোকান বা রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কেনেন, তাহলে প্রথমে অল্প করে কিনুন। যদি ভাল লাগে তবে বেশি পরিমানে কিনুন। কারণ একটা কথা মাথায় রাখবেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে কিন্তু গোটা পুজোর আনন্দটাই শেষ।
আরও পড়ুন - দিনের কোন সময়ে হার্ট ফেল-এর ঝুঁকি সর্বাধিক-কাদের সাবধানতা জরুরি