দেখতে খুদে। অথচ পুষ্টিগুণ রয়েছে ঠাসা। তিসির বীজকে সাধে কি আর সুপারফুড বলা হয়! শরীরকে সুস্থ ও চাঙ্গা রাখে তিসির বীজ। ভাল হয় হজমশক্তি। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখে ওজন। শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতেও জুড়ি নেই তিসির বীজের। পুষ্টিবিদরা বলছেন,প্রতিদিন তিসির বীজ স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। কমে একাধিক রোগের ঝুঁকিও। পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
তিসির বীজ খেলে খিদে পায় না। পেট থাকে ভরা। ডায়েটে তিসির বীজ রোজ খেয়ে আর ৪৫ মিনিট হেঁটে অনায়াসে কমাতে পারেন ওজন। যাঁদের অন্ত্র এবং থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্যও দারুণ উপকারী তিসির বীজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তিসির বীজ খেলে উপকার পাবেন?
কীভাবে খাবেন তিসির বীজ
তিসির বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। তবে এটি কখনও কাঁচা খাবেন না। তিসির বীজে উপস্থিত ফাইটিক অ্যাসিড দূর করতে সবসময় ভিজিয়ে খান। ভেজানোর পর পিষে নিন ভালো করে। তিসির বীজ বিজিয়ে শুকনো ফল বা টক দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এক চামচ বীজে সঙ্গে এক মুঠো বাদাম মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বী ভেজে গুঁড়ো করেও নিতে পারেন। তা দই বা স্মুদিতে যোগ করে খেতে পারেন। এই বীজের গুঁড়ো খাবারের স্বাদ নষ্ট করে না।
তিসির বীজ কেন ভিজিয়ে বা পিষে নেবেন?
তিসির বীজের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে ভিজিয়ে পিষে খাওয়াই শ্রেয়। সেগুলি দ্রুত হজম হয়। অন্যথায় পরিপাকতন্ত্র এই খোসা সহজে হজম হয় না। তাই গোটা খেলে পুষ্টি পাবেন শরীর। তিসির বীজ খেলে পিষে খাওয়াই শ্রেয়।
তিসির বীজ খাওয়ার পর জল খান
তিসির বীজ খাওয়ার পর বেশি করে জল খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় দ্রুত হজমের জন্য জলের দরকার।
এই সব অসুখ থাকলে তিসির বীজ বিষের সমান
এই তিসির বীজগুলিতে অ্যাসিড রয়েছে যা প্রদাহ এবং অন্ত্রের রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে।যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাঁরা এই বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরও পড়ুন- শীতে হাঁটুর ব্যথায় কাহিল? ৪ ঘরোয়া টোটকায় নিমেষে পান মুক্তি