গ্রীষ্মে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। এই সমস্যা যে কারওরই হতে পারে। অনেক সময় মানুষ অজান্তেই এর শিকার হয়ে যান। ফুড পয়েজনিংয়ের লক্ষণ চেনা সহজ নয়। তবে এটি সেহজে চিহ্নিত করার উপায় হল (Food Poisoning Symptoms), যদি পেটে ব্যথা, খিঁচুনি, বমি, মাথাব্যথা সব একসঙ্গে হতে থাকে, তাহলে হয়ত আপনার ফুড পয়েজনিং হয়ে থাকতে পারে। খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে সেরে উঠতে অবিলম্বে কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ করা উচিত। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেও এটি নিরাময় করতে পারেন।
গ্রীষ্মের ঋতুতে যে কোনও ব্যক্তির খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটে। এক কথায় বলতে গেলে, খারাপ খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হয়। খাবারের নষ্ট হওয়া নির্ভর করে সেটি কীভাবে রান্না করা হচ্ছে ও তাতে কী কী উপাদান দেওয়া হচ্ছে তার ওপরে। অনেক সময় আবার রান্না করতে করতেও খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এর মধ্যে আরও অসুবিধা হয়, গ্রীষ্মের দিনে খাবার বেশি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
যে বিষয়গুলিতে সতর্ক হওয়া উচিত
১. যে খাবার দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না।
২. খাবারটি কোনও অসুস্থ ব্যক্তি স্পর্শ করেছন বা মুখ দিয়ে খেয়েছেন কি না।
৩. যে খাবার ঠিকমত রান্না হয়নি।
৪. কাটিং বোর্ড বা ছুরি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি।
৫. খাবারে রান্না করা তেল বারবার ব্যবহার করা।
৬. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ছাড়া খাবার প্রস্তুত করা।
কীভাবে ফুড পয়জনিং এড়ানো যায় (Food Poisoning Presentation)
রান্না করার সময় কিছু জিনিস সবসময় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, জাঙ্ক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও টক্সিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি পরবর্তীতে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি পেট সম্পর্কিত কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন তাহলে সবসময় সঙ্গে সঙ্গে রান্না করা খাবার খান। খাবারে বিষক্রিয়া কখনও কখনও মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন - নতুন সপ্তাহে অর্থ-সম্মান-কেরিয়ারে তুখোড় সাফল্য ৫ রাশির, লিস্টে আপনি আছেন?