Advertisement

অনলাইন অর্ডারে বাড়িতে এল ফ্রিজ, তার ভিতরে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা !

অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন পুরনো ফ্রিজ। যথারীতি ফ্রিজও এল। খুলে পরীক্ষা করতে গিয়ে তাজ্জব গ্রাহক। ভিতরে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ! গুণে দেখলেন তার পরিমাণও বিশাল। ৯৬ লক্ষ টাকা। তারপর কী করলেন ওই ব্যক্তি ?

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • সিওল,
  • 30 Aug 2021,
  • अपडेटेड 8:13 AM IST
  • ফ্রিজের ভিতর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা
  • গুণে দেখা গেল ৯৬ লক্ষ টাকা
  • সে টাকা অবশ্য পুলিশকে তুলে দিলেন ওই ব্যক্তি

অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে এল ফ্রিজ(Refrigerator)। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল সব কিছুই। তারপর যা ঘটল তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ওই গ্রাহক। ফ্রিজের ভিতর থরে থরে সাজানো রয়েছে টাকা। এত টাকা ! কি করবেন তিনি ভাবতে ভাবতে দিন পার হয়ে গেল। 

ফ্রিজের ভিতর সাজানো ৯৬ লক্ষ টাকা

অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন পুরনো ফ্রিজ। যথারীতি ফ্রিজও এল। খুলে পরীক্ষা করতে গিয়ে তাজ্জব গ্রাহক। ভিতরে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ! গুণে দেখলেন তার পরিমাণও বিশাল। ৯৬ লক্ষ টাকা। শেষমেষ অবশ্য তিনি কোরিয়ার কঠিন আইনের কথা মাথায় রেখে টাকা জমা দিয়ে এলেন পুলিশকে। 

অনলাইন অর্ডার যাচাই করতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসে

ঠিক কী হয়েছিল? সম্প্রতি একটি পুরনো ফ্রিজ কেনার ভাবনাচিন্তা ছিল কোরিয়ার ওই যুবকের। অনলাইন বিপণন সংস্থায় পছন্দসই ফ্রিজ পেয়ে যান। অর্ডারও দিয়ে দেন। কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িতেও চলে আসে। অর্ডার দেওয়া জিনিস বাড়িতে আসার পর স্বাভাাবিক নিয়মে খুলে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা অর্ডারই তাঁর কাছে এসেছে কি না। 

টাকা গুণে দেখেন তিনি

খুলে দেখতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে ওই যুবকের।  ফ্রিজ খুলতেই কার্যত হতভম্ব হয়ে যান তিনি। দেখেন ফ্রিজে সাজানো রয়েছে থরে থরে টাকা। কোরিয়ান কারেন্সিতে সাজানো টাকা প্রথমে গুণতে বসেন তিনি।তাতে কমপক্ষে নগদ ৯৬ লক্ষ টাকা (96 Lakh Cash) ছিল। এত টাকা দেখে অবাক হলেও টাকাটা রেখে দেওয়ার মতো বোকামি করেননি তিনি।

পুলিশের কাছে যাওয়াই ভাল বলে মনে করছেন তিনি

টাকা নিয়ে চুপচাপ থাকতে পারতেন। তবে তাতে আইনি বিপাকে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। কারণ টাকার উৎস জানেন না তিনি। পরে ফেঁসে যেতে পারতেন। সে কারণে কোনও ঝুঁকি নেননি ওই যুবক। তড়িঘড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খুলে বলেন গোটা বিষয়টি। ৯৬ লক্ষ টাকার কথা শুনে হতচকিত হয়ে যায় পুলিশও। বর্তমানে ওই বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

টাকার বেশিরভাগ ফেরতও পেতে পারেন তিনি

ফ্রিজের বিক্রেতার খোঁজ চলছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) আইন অনুযায়ী, যদি টাকার আসল মালিককে চিহ্নিত করা না যায় তাহলে ২২ শতাংশ কেটে নিয়ে বাকি ফ্রিজের ক্রেতাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে ফ্রিজ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে উপার্জিত হয়, তবে তা আর ফেরত পাবেন না কেউই। পরিবর্তে টাকার প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement