যদি সবসময় ফিট থাকতে চান, তাহলে রোগ থেকে দূরে থাকা অবশ্যই জরুরী এবং এর জন্য যদি জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে তার জন্যও প্রস্তুত থাকুন। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা অনেক সময় জেনেটিকভাবে শরীরে বাসা বাধে। অর্থাৎ, পরিবারের কারও যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেরও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে মনে রাখতে হবে পরিবারের কারও ডায়াবেটিস না থাকলেও অনেক সময় এই রোগের ঝুঁকি থেকেই যায়।
ওজনের খেয়াল রাখুন
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অর্থাৎ ওজন যেন বয়স ও চেহারা অনুপাতে বেড়ে না যায়। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে খুব সহজেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সূর্যের আলো এবং ভিটামিন ডি অপরিহার্য
ঠান্ডার দিনে বাইরে সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ বসুন। কারণ সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর একটি দারুণ উৎস। এর ফলে আপনার ব্লাড সুগার স্বাভাবিক থাকবে। অনেকে ভিটামিন ডি-এর ওষুধও খান, যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
টেনশন কমান
টেনশন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। তাই যতটা সম্ভাব টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন। তাতে ডায়াবেটিসকে দূরে রাখতে পারবেন।
অ্যালকোহল এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকুন
যদি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে অ্যালকোহল, সিগারেট-সহ সমস্তরকম ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলে রক্তে শর্করার পরিমান খুব স্বাভাবিকভাবেই কমতে শুরু করবে। তাই যদি বেশি পরিমানে অ্যালকোহল সেবন ও ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই তা পরিত্যাগ করুন।
থাইরয়েড পরীক্ষা করান
মানব শরীর থেকে অনেক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার মধ্যে একটি হল থাইরয়েড। এই জন্য নিয়মিত থাইরয়েড ফাংশন পরীক্ষা করানো উচিত। এছাড়াও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা করাতে পারেন। যেমন ফাস্টিং ব্লাড সুগার, খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ব্লাড সুগার পরীক্ষা ও প্রস্রাবের রুটিন এবং লিপিড পরীক্ষা।
আরও পড়ুন - শীতে দুধ-ডুমুরের কম্বিনেশন এককথায় সুপার ফুড, উপকার জানলে চমকে যাবেন