আদা শুধুমাত্র চা এবং খাবারে এর স্বাদ বাড়াতেই ব্যবহার করা হয় না, এটি একটি চমৎকারী আয়ুর্বেদিক ওষুধও (Ginger Benefits)। এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই অনেক রোগ নিরাময় করতে পারি। আর সবচেয়ে বড় কথা আদা খেলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের জানাবো আদা খাওয়ার এমনই ৫ ফাটাফাটি উপকারিতা সম্পর্কে।
হার্ট অ্যাটাক - হার্ট সংক্রান্ত রোগে আদা খাওয়া উপকারী। এটি খেলে রক্ত পাতলা হয়, যার কারণে ধমনীতে ব্লকেজ হয় না এবং সঞ্চালনা ঠিক থাকে। তাতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি কমে। তাই হৃদযন্ত্রকে ভাল রাখতে আদা খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন।
গ্যাস অম্বল - যাঁরা গ্যাস-অম্বলের (Acidity Gas) সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য আদা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে উপস্থিত এনজাইম খাবার হজমে সাহায্য করে, যার ফলে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকে। এছাড়াও আদার মাধ্যমে পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
বমিভাব - ভ্রমণের সময় বা বাড়িতে বমি বমি ভাব (Vomiting) অনুভূত করলে কিছুটা আদা কেটে খাওয়া যেতে পারে। এতে জিঞ্জেরল নামক উপাদান থাকে। যার কারণে পেট ঠিক হয়ে যায় এবং বমিও হয় না। অন্ত্রে উৎপন্ন গ্যাসেও এটি খুবই উপকারী।
ব্যাড কোলেস্টেরল - ভুল লাইফস্টাইলের কারণে আজকাল অনেকেই ব্যাড কোলেস্টেরলের (Bad Cholesterol) সমস্যায় ভুগছেন। এই কোলেস্টেরলই পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা দুটোই কমে যায় আদার ব্যবহারে। তাই ব্যাড কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য খেতে পারেন আদা।
ফ্রি র্যাডিক্যাল - অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, আদার ব্যবহারে শরীরে নিঃসৃত ফ্রি র্যাডিক্যাল (Free Radicals) নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি খেলে মুখের বলিরেখা দূর হয়ে যায় এবং ত্বক আগের চেয়ে তারুণ্য বজায় থাকে। এটি অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। তাই এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - গোটা চৈত্র মাস মীনে থাকবেন সূর্যদেব, ৪ রাশির কপাল হবে ঝলমলে