কোনও কোনও মানুষ আছেন যাঁরা কঠিন পরিস্থিতিতেও মেজাজ হারান না। আর কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ছোটখাটো বিষয়েও রেগে যান। রাগ করার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন আর্থিক সমস্যা, অফিসের টানাপোড়েন, পারিবারিক কলহ, প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত কিংবা ব্যর্থতা। তবে এটা কি জানেন, যে এমন কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলি খেলে হতে পারে রাগ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. ফুলকপি
ফুলকপি খেলে শরীরে এক্সা এয়ার তৈরি হতে থাকে, যার ফলে গ্যাসের আশঙ্কা থাকে। আর এমনটা হলে সেটি রাগের কারও হয়ে উঠতে পারে। ফুলকপির মতো, ব্রকলির ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দেয়।
২. ড্রাই ফ্রুট
অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞই সুস্বাস্থ্যের জন্য ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে এগুলি রাগের জন্ম দিতে পারে। তাই রেগে থাকা অবস্থায় ড্রাই ফ্রুট না খাওয়াই ভাল।
৩. টমেটো
টমেটো এমন একটি সবজি যা ছাড়া রান্নার স্বাদ কার্যত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে এটি শরীরে তাপ বাড়িয়ে কোনও ব্যক্তিকে রাগিয়ে তুলতে পারে। তাই যাঁরা তাড়াতাড়ি রেগে যান, তাঁদের টমেটো কম খাওয়া উচিত।
4. রসালো ফল
শসা এবং তরমুজ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তবে রাগ বৃদ্ধির নেপথ্যেও এটির ভূমিকা থাকতে পারে। তাই মানসিক চাপে থাকলে রসালো ফল খাবেন না।
৫. বেগুন
বেগুনে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে যা মনে রাগ তৈরি করতে পারে। তাই যদি কেউ অনুভব করেন যে বেগুন খাওয়ার পর মনে রাগের জন্ম হচ্ছে তাহলে অবিলম্বে এটি খাওয়া কমিয়ে দিন।
মাথা ঠান্ডা রাখে যে খাবারগুলি
অন্যদিকে মাথা ঠান্ডা রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রয়েছে কিছু খাবারের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথা ঠান্ডা রাখতে গ্রিন টি-এর জুড়ি মেলা ভার। কোনও দিন মেজাজ খারাপ থাকার জন্য যদি কাজে মন না দিতে পারেন, তা হলে এক কাপ গ্রিন টি খেয়ে নিন। তাতে মাথা শান্ত থাকবে। মেজাজ শান্ত রাখতে আরও একটি ভাল খাবার হল আলু। এতে থাকে কার্বহাইড্রেট ও ভিটামিন বি, যা রক্তচাপ ও স্ট্রেস কমায়। পিনাট বাটার দিয়ে আপেল খেলেও উপকার পাবেন। চট করে যাঁদের রেগে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাঁদের এই প্রবণতা কমাতে কলাও বিশেষ কার্যকরী। এছাড়া আইসক্রিম ও চকোলেটও মেজাজকে শান্ত রাখে।
আরও পড়ুন - কোনও সিকিউরিটি ছাড়াই PAN Card-এ মিলবে লোন, কীভাবে?