করোনার (Corona) সমস্ত ভ্যারিয়ান্ট থেকে রক্ষা পেতে বরাবরই ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপরে গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করেন মানুষ। কেউ কাড়া পান করেন, তো কেউ আবার সুপার ফুড ও সাপ্লিমেন্ট খান। এছাড়া কিছু সবুজ সতেজ সবজিও আছে, যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি হয়তো অনেকেই পছন্দ করেন না, তবে এগুলি প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে (Immunity Booster) সাহায্য করে। শাকসবজির সবুজ রঙ হল ক্লোরোফিল, যা গঠনগতভাবে হিমোগ্লোবিনের মতো। সবজির এই গঠনগত রূপ রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে, ততে ইমিউনিটিও ভাল থাকে। তাছাড়া সবুজ সবজিতে জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণও থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। তাই আপনিও ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য এই সবজিগুলি খেতে পারেন।
ব্রোকলি - এটি দেখতে ফুলকপির মতো। এতে থাকে ভিটামিন এ, কে, সি, ফোলেট এবং ফাইবার। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্রকোলি খুবই কার্যকরী। রোজ ব্রোকলি খেলে শরীরে বিটা-ক্যারোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ক্যানসার মোকাবিলাকারী কোষের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। ব্রোকলি কাঁচা, স্যুপ, তরকারি বা স্যালাডে খাওয়া যেতে পারে।
পালং শাক - এতে থাকে পূর্ণমাত্রায় ভিটামিন সি, এ, জিঙ্ক এবং আয়রন। তাছাড়া এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন। ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন দুই-ই দেহে সংক্রমণ ঠেকাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ইমিউনিটি বাড়াতে পালং শাক খাওয়া উচিত। এটিকে অর্ধেক সিদ্ধ করে, তরকারিতে বা স্যালাডে খাওয়া যেতে পারে।
ক্যাপসিকাম - এই সবজিটি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। এক কাপ কাটা ক্যাপসিকামে ১৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। তাই পোলাও বা স্যালাডে খেতে পারেন ক্যাপসিকাম।
ফুল কপি - এতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, কে, ফোলেট এবং ফাইবার থাকে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ফুল কপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটিকে স্যালাডে, তরকারি করে বা ভাজা খেতে পারেন।
গাঢ় সবুজ পাতাযুক্ত সবজি - এই ধরনের সবজিতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ও ই। তাই এগুলিও ইমিউনিটি বাড়াতে খুবই কাজে লাগে। এগুলিও তরকারি, স্যালাড বা নুন-লেবু দিয়ে কাঁচা খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - স্কুটার-বাইকের দাম কমতে পারে বাজেটের পর, কী ভাবে?