সনাতন ভারতীয় ঐতিহ্যে, গুরুর স্থান ঈশ্বরের চেয়ে উঁচুতে বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গুরু পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস যে মহর্ষি বেদব্যাস এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে গুরুদের স্মরণ করার দিন। ভারতীয় সভ্যতা গুরু পরম্পরার। কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনের গুরু হয়েছেন শ্রী কৃষ্ণ, আবার কখনও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের গুরু হয়ে চাণক্য গোটা ভারতকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছিলেন। তাছাড়া বহু মানুষের এখনও আধ্যাত্মিক গুরু রয়েছেন। গুরুপূর্ণিমার দিন হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজর মাধ্য়মে পাঠান শুভবার্তা।
মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মবার্ষিকী গুরু পূর্ণিমার উৎসব উদযাপিত হয়। তাই একে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। মহর্ষি বেদব্যাস মহাকাব্য মহাভারত, শ্রীমদ্ভগবদগীতা, ১৮টি পুরাণ এবং বেদ সংকলন করেছিলেন। বেদ সংকলনের কারণে তাঁর নাম বেদব্যাস রাখা হয়েছিল। মহর্ষি বেদ ব্যাস স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর রূপ। এবার গুরু পূর্ণিমার দিনে একাধিক শুভ যোগ তৈরি হতে চলেছে। এই দিনে ব্রহ্ম যোগ ও ইন্দ্র যোগ গঠিত হবে। সনাতন হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে,পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ২ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে। শেষ হবে ৩ জুলাই সোমবার রাত ১১:০৮ মিনিটে। উদয়তিথি অনুসারে, ৩ জুলাই গুরু পূর্ণিমা পালিত হবে।
১। গুরু সর্বশ্রেষ্ঠ, যিনি সকলকে জ্ঞান দেন। এই গুরু পূর্ণিমায় গুরুকে জানাই প্রণাম। শুভ গুরু পূর্ণিমা।
২। গুরু ছাড়া জ্ঞান হয় না, গুরু ছাড়া শিক্ষা মেলে না। গুরু ছাড়া সত্য নেই। গুরু ছাড়া আপন কেউ নেই। শুভ গুরু পূর্ণিমা।
৩। গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু, গুরু দেব মহেশ্বর,গুরু সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম, তস্মই শ্রী গুরুভে নমঃ । শুভ গুরু পূর্ণিমা।
৪। গুরু সেই পবিত্র আলো যা পৃথিবীকে আলোকিত করেছে। শুভ গুরু পূর্ণিমা।
৫। শিখিয়েছেন শান্তির পাঠ,দূর করেছেন অজ্ঞতার অন্ধকার। গুরু আমাদের শিখিয়েছেন, ঘৃণার উপর প্রেমের জয়। শুভ গুরু পূর্ণিমা।
৬। গুরু হলেন পরশ পাথর, লোহাকে সোনায় পরিণত করেন। শুভ গুরু পূর্ণিমা।
৭। গুরুর মহিমা অদ্বিতীয়, অজ্ঞতা দূর করে জ্ঞানের শিখা জ্বালিয়েছেন। গুরু পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।
৮। কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক, এই শিক্ষা দেন। মিথ্যা কী আর সত্য কী, বুঝিয়ে দেন গুরু। শুভ গুরু পূর্ণিমা।
৯। গুরু ছাড়া জ্ঞান হয় না, জ্ঞান, ধ্যান, জ্ঞান, ধৈর্য ও কর্ম ছাড়া আত্মা নেই। সবই গুরুর দান। শুভ গুরু পূর্ণিমা।