Hair Style : প্রত্যেক মানুষের চুলের স্টাইল আলাদা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার চুলের স্টাইলও আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করে? চুলের স্টাইলই বলে দেয় সেই ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। জেনে নিন আপনার চুলের স্টাইল কী বলে
ডান দিকে সিঁথি থাকলে
সাধারণত এই ধরনের ব্যক্তিদের শনি প্রভাবশালী হয়। এই ধরনের লোকেরা খুব দৃঢ়সংকল্প এবং পরিশ্রমী হয়। কিন্তু জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। রেগে যাওয়া এবং অতিরিক্ত জেদি হওয়া তাঁদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই ধরনের ব্যক্তিদের ৩২ এবং ৪৮ বছর বয়সে বিশেষ সুবিধা হতে দেখা যায়। যদি দ্বন্দ্ব সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে এই স্টাইলটি পরিবর্তন করুন
বাম দিকে সিঁথি থাকলে
বৃহস্পতি বা চন্দ্রযুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণত বাম দিকে সিঁথি রাখেন। এ ধরনের মানুষ বুদ্ধিমান ও সরল হলেও তাঁদের মধ্যেও চরম অবহেলা দেখা যায়। তাঁদের উভয়ের ভাগ্য এবং ঈশ্বরের কৃপা রয়েছে এবং তারা অল্প বয়সেই সাফল্য পান। তাঁরা ২৩ তম এবং ৩৩ তম বছর বয়সে বিশেষভাবে সফল। আপনি যদি খুব অসাবধান হন, তবে এই স্টাইলটি পরিবর্তন করুন
মাথার মাঝখান থেকে সিঁথি থাকলে
শুক্র অধিপতিরা ব্যক্তিত্ব হন।এই ধরনের লোকেরা খুব চঞ্চল প্রকৃতির হয় এবং তাঁদের জীবনে বারবার উত্থান-পতন আসে। টাকা প্রচুর আসে কিন্তু টাকা বাঁচানো সম্ভব হয় না, অনেক সময় টাকার অভাব হয়। ৩৫, ৪২ এবং ৫০ বছর বয়সে তাঁরা বিশেষ সাফল্য পায়। যারা দ্রুত ব্যর্থতা পান, তাদের এই স্টাইল রাখা উচিত নয়
চুল উপরের দিকে বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
এই ধরনের লোকেরা বারবার জীবনে পরিবর্তন আনে, কিন্তু তাঁরা এক পথে শান্তি পায় না, তাই অসুবিধা অনেক আসে। এই ধরনের লোকেরা শিল্প সঙ্গীত এবং সাহিত্য রচনায় খুব আগ্রহী এবং এতে দুর্দান্ত সাফল্য পান। এই ধরনের ব্যক্তিরা ৩৯, ৪৫ এবং ৫৫ বছর বয়সে বিশেষ সাফল্য পান। জীবনে অনেক উত্থান-পতন থাকলে এই স্টাইল পরিবর্তন করা উচিত।
আপনার যদি কোঁকড়ানো চুল থাকে
এই চুল শুক্র এবং চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত। জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও মানসিক সমস্যা আসে। এ ধরনের মানুষকে পারিবারিক জীবনে সমস্যায় পড়তে হয়। এই ধরনের ব্যক্তিদের তাঁদের স্বভাব এবং আচরণের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ২৫, ৩৮ এবং ৪৫ বছর বয়সে তাঁরা বিশেষ সাফল্য পায়। আবেগপ্রবণ ব্যক্তিদের কোঁকড়া চুল এড়িয়ে চলা উচিত
যদি আপনার মাথায় চুল না থাকে
সূর্যের আধিপত্যের কারণে হয় মাথায় চুল থাকে না বা কমতে থাকে। এমন মানুষদের বাবার কাছ থেকে কম সুখ পেতে দেখা যায়। এই ধরনের লোকেরা রাজনীতি, প্রশাসন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করে। এই ধরনের লোকদের বক্তৃতা খুব কঠোর এবং সাধারণত এটি অনেক সম্পর্ক নষ্ট করে। তাঁরা ২৯, ৩৪ এবং ৪০ বছর বয়সে বিশেষ সুবিধা পান।
জ্যোতিষী- শৈলেন্দ্র পান্ডে