বাদাম, ছোলা, আমন্ড স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত। কিন্তু অনেকেই ঠিকঠাকভাবে বাদাম খান না। কেউ আবার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। বাদামে থাকে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিন। আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটও থাকে। সুতরাং প্রতিদিনের ডায়েটে থাকা স্বাস্থ্যকর। বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার।
কতটা খাওয়া উচিত (পরিমাণ)?
বাদাম খাওয়া ভাল মানেই অনেকটা করে খেয়ে নেবেন এমনটা নয়! হজমশক্তি রয়েছে, প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন, নিরোগ- এমন ব্যক্তিরা এক মুঠো বাদাম খান প্রতিদিন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন পরিমিত জলও খেতে হবে।
অতিরিক্ত খেলে কী হবে?
বাদাম বেশি ফলে বদহজম, পেটে ভারী, জ্বালাভাব এমনকি ডায়েরিয়া ও ওজন বৃদ্ধি পর্যন্ত হতে পারে। কারণ, বাদাম, আমন্ডে থাকে ৮০ শতাংশ ফ্যাট।
কীভাবে খাওয়া উচিত?
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, বাদাম হজম করা কঠিন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে এতে শরীর গরম হয়। তাই যখনই খাবেন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখলে এর তাপ কমে যায়। অপসারিত হয় ফাইটিক অ্যাসিড/ট্যানিন। সহজেই বাদাম থেকে শরীর পুষ্টিগুণ নিয়ে নিতে পারে। ভিজিয়ে খেতে অপছন্দ হলে শুকনো বাদামই গুঁড়িয়ে নিন। সেই গুঁড়ো খেতে পারেন।
ভেজানো বাদাম থেকে ফাইবার, প্রোটিন, বিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিগুণ শুষে নিতে পারে শরীর। হজমের সমস্যাও হয় না। শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম ভেজানো বাদাম। কারণ এতে থাকে লাইপেজ নামে এনজাইম। বাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কও সচল হয়। বাড়ে বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি। ত্বক উজ্জ্বল করতেও বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। ভিটামিন ই-র পাশাপাশি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
আরও পড়ুন- গরম না ঠান্ডা দুধ, কোনটা কখন খেলে উপকার বেশি?