Advertisement

High And Low Blood Sugar Symptoms And Treatment : রক্তে কতটা সুগার বিপজ্জনক? ডায়াবেটিসের এই বিষয়গুলি অবশ্যই জানা জরুরি

আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, একটি স্বাভাবিক ফাস্টিং ব্লাড সুগার, অর্থাৎ সকালে যখন ৮ ঘণ্টা ধরে জল ছাড়া কিছু খাওয়া বা পান করা হয় না, তখন ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএলের কম হওয়া উচিত। ১০০ mg/dL মানে রক্তে শর্করা স্বাভাবিক।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
  • 14 Dec 2022,
  • अपडेटेड 9:46 AM IST
  • সুগার কঠিন রোগ
  • নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি
  • জেনে নিন কিছু কথা

ভারতে দ্রুত বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। এর কবলে পড়ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। আর এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করাও খুব কঠিন। দীর্ঘদিন ধরে দেহে ব্লাড সুগারের পরিমা বেশি থাকলে বেশকিছু রোগও হতে পারে। আবার শুধু বেশি নয়, ব্লাড সুগার কম হলেও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এই প্রতিবেদনে আপনাদের বলা হবে ডায়াবেটিসের কোন পর্যায়টি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এবং সেটি নিয়ন্ত্রণে কীভাবে রাখা যায়। 

সাধারণ ব্লাড সুগার (Blood Sugar Level)
আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, একটি স্বাভাবিক ফাস্টিং ব্লাড সুগার, অর্থাৎ সকালে যখন ৮ ঘণ্টা ধরে জল ছাড়া কিছু খাওয়া বা পান করা হয় না, তখন ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএলের কম হওয়া উচিত। ১০০ mg/dL মানে রক্তে শর্করা স্বাভাবিক।

অন্যদিকে, যদি কারও ফাস্টিং ব্লাড সুগারের মাত্রা ১০০ থেকে ১২৫ mg/dL-এর মধ্যে হয়, তাহলে তাঁরা প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়াও, ১২৫-এর ওপরে হলে সেটি ডায়াবেটিস নির্দেশ করে।

আরও পড়ুন

ফাস্টিং ব্লাড সুগারের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মাত্রা নির্ণয় করা যায়। এভাবেও বুঝতে পারবেন।
১০০ mg/dl এর কম - স্বাভাবিক
১০০ mg/dl থেকে ১২৫ mg/dl - প্রি ডায়াবেটিস
১২৬ mg/dl বা তার বেশি - ডায়াবেটিস 

হাই ব্লাড সুগারের ঝুঁকি (High Blood Sugar)
হাই ব্লাড সুগারের অর্থ হল রক্তে চিনি খুব বেশি রয়েছে এবং শরীরে ইনসুলিনের অভাব রয়েছে। ফলে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। খাবার থেকে পর্যাপ্ত ইনসুলিন না পাওয়া, খুব কম ব্যায়াম, অতিরিক্ত খাওয়া, মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন এবং ঘুমের অভাব সহ অনেক কারণে এই অবস্থা হতে পারে। এই হাই ব্লাড সুগার খুবই বিপজ্জনক। 

রক্তে উচ্চ শর্করার লক্ষণগুলি কী কী? (High Blood Sugar Symptoms)
রক্তে উচ্চ শর্করার প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার তেষ্টা পাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, বেশীতে খুব ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি এবং মাথাব্যথা। হাই ব্লাড সুগারের গুরুতর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব শুষ্ক মুখ, ওজন হ্রাস, দুর্বলতা, চরম ক্লান্তি, মানসিক বিভ্রান্তি, পেশীতে গুরুতর ব্যথা, দৃষ্টি ভীষণরকম ঝাপসা হয়ে যাওয়া এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।

Advertisement

লো ব্লাড সুগারের ঝুঁকি (Low Blood Sugar)
লো ব্লাড সুগার হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামেও পরিচিত। এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগের চিকিৎসা না করা হলে ব্যক্তি কোমায় চলে যেতে পারেন এমনকী মারাও যেতে পারে।

লো ব্লাড সুগার কী?
লো ব্লাড সুগারের অর্থ হল রক্তে শর্করার মাত্রা ৮০ mg/dL এর কম। আর এই রিডিং যদি ৪০ mg/dL এর কম হয় তাহলে সেটা খুবই বিপজ্জনক। যদি কোনও রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণ ৪০ mg/dL এর নিচে কয়েক ঘন্টার জন্য থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির কোমায় যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

রক্তে কম শর্করার লক্ষণগুলি কী কী? (Low Blood Sugar Symptoms)
রক্তে কম শর্করার লক্ষণগুলি মধ্যে রয়েছে মানসিক বিভ্রান্তি, রাগ, ঘাম, নড়াচড়া করতে অসুবিধা, দ্রুত নাড়ি চলাচল, ক্ষুধামন্দা, অলসতা, বিরক্তি, মাথা ঘোরা, অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং পেশী দুর্বলতা।

হাই এবং লো ব্লাড সুগার এড়ানোর উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ে জীবন কাটানো খুবই কঠিন। ডায়াবেটিস রোগীদের খেয়াল রাখতে হবে যে রক্তে যেন শর্করার পরিমান কম-বেশি না হয়। এই উপায়গুলিতে রোগীরা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

১. কার্বোহাইড্রেটের দিকে নজর রাখুন এবং এমন খাবার খান যেটির কার্বোহাইড্রেটের পরিমান জানেন।
২. রান্নায় সময় এমন উপাদান ব্যবহার করুন যেগুলি সম্পর্কে আপনি জানেন
৩. একটি রুটিন বজায় রাখুন এবং প্রতিদিন একই সময়ে খান
৪. ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত।
৫. সময় সময় ইনসুলিনের মাত্রা পরীক্ষা করতে থাকুন। এছাড়াও খাবার খাওয়ার আগে এবং পরেও ইনসুলিন পরীক্ষা করুন। 


 

Read more!
Advertisement
Advertisement