Fatty Liver Home Remedy: লিভারের রোগ আজকাল ঘরে ঘরে। লিভার আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, বেঁচে থাকার জন্য এটি অপরিহার্য। ফ্যাটি লিভার এমন একটি রোগ যাতে লিভারে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি খুব জটিল না হলেও, এর কারণে হওয়া পেটে ব্যথা খুবই কষ্টদায়ক। সঠিকভাবে চিকিত্সা না করা হলে, ফ্যাটি লিভার বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে, যা থেকে সিরোসিস (লিভারের ক্ষতি) এবং সাধারণ লিভারের সমস্যা হতে পারে।
সুস্থ লিভার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এসময় অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলা উচিত। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, ফ্যাটি লিভার ডিসঅর্ডার থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারও চেষ্টা করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্যাটি লিভার ডিজঅর্ডারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়।
হলুদ: ফ্যাটি লিভার হলুদ সেবনের মাধ্যমে কমানো যায়। হলুদ খেলে লিভার সুস্থ থাকে। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন উপাদান, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য লিভারের কোষকে সুস্থ রাখে। খাবারে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করুন, রাতে ঘুমানোর আগে হলুদের দুধ পান করুন।
রসুন: কাঁচা রসুন লিভারকে সুস্থ রাখে। এর বৈশিষ্ট্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, সেলেনিয়াম লিভারে উপস্থিত ডিটক্স এনজাইমকে সক্রিয় করে। লিভার পরিষ্কার করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করুন। আপনি যদি ব্যায়াম না করেন, তাহলে প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
অ্যালোভেরা: বাড়িতে যদি অ্যালোভেরা গাছ থাকে তবে এটি কাজে লাগান। অ্যালোভেরা জেলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরকে ডিটক্স করে। লিভার সুস্থ রাখে। শরীরে উপস্থিত টক্সিন বের করে দেওয়া প্রয়োজন, না হলে লিভারের সমস্যা শুরু হতে পারে। অ্যালোভেরা জেল খান বা যেকোনও জুসে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
এই ফল ও সবজি খান: খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি রাখুন। প্রচুর পরিমাণে আঙুর, আপেল, কমলা, খেজুর, কলা, ডুমুর, ফলমূল এবং শাকসবজি যেমন ব্রকলি, সবুজ শাক, ক্যাপসিকাম, গাজর, মিষ্টি আলু, শসা, টমেটো ইত্যাদি খান। এসবই লিভারকে সুস্থ রাখে। স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন বাদাম, বীজ, ডাল, মটর, সাদা ছোলা, মটরশুটি ইত্যাদি খান। গোটা শস্যের মধ্যে ডায়েটে ব্রাউন রাইস, কুইনো, ওটস অন্তর্ভুক্ত করুন।