ক্যালেন্ডার বলছে বসন্ত এসে গেছে। এই সময়টা রাতের দিকে থাকে শীত শীত ভাব। আর সকালে রোদের দাপট। এখনও ফুলহাতা পোশাক পরেই মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছেন। তবে আর মাসখানেক পরেই চলে আসবে গরম। তখন আর ফুলহাতা বা সর্বাঙ্গ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না। এদিকে, শীতকালে নলেন গুড়ের মিষ্টি, বিয়েবাড়ি, রেস্তোরাঁয় খেয়ে অনেকখানি ওজন বেড়ে গিয়েছে। পেটেও জমেছে মেদ। শীতে গরম পোশাকে সব ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু গরমে তো তা হবে না। তাহলে কী হবে? অনিয়মের জন্য ভুঁড়ি তো জানান দেবে। হাতে আর সময়ও বেশি নেই। চিন্তা করবেন না, মাসখানেক সময় থাকলেও কমিয়ে ফেলতে পারেন ওজন। মেনে চলতে হবে ৫টি নিয়ম।
ভুঁড়ি নিয়ে অনেকেরই চিন্তা। বিশেষ করে গরমে হালকা জামাকাপড় পরলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। টপ-টিশার্ট পরলে বাড়ে অস্বস্তি। অনেকেই নানা চেষ্টা করেও কমাতে পারেন না ওজন। আসলে ওজন কমানোর জন্য একটু স্মার্ট হতে হয়। মাত্র ৫টি নিয়ম মানলেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন ভুঁড়ি।
পাতে কার্বস রাখবেন না- মাসখানেক সময় গরম আসার আগে। ফলে ডায়েট একটু কড়া করা দরকার। তাই এবার খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ দরকার। শুরুতেই বাদ দিন কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ ময়দা, ভাত, চিনি পুরোপুরি বাদ দিন। খান কমপ্লেক্স কার্বস। খোসা-ভুশির আটার রুটি, খোসার ডাল, ছাতু, ওটস খান। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। কম খিদে পায়। ক্যালোরিও অনেকটা ঢোকে শরীরে।
ফল- ফলের রস খেয়ে কোনও লাভ নেই। গোটা ফল খেলেই বেশি উপকার। আসলে ফলে থাকে ফাইবার। যা হজমশক্তি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। রোজ পেট পরিষ্কার থাকে। আপনি থাকবে চাঙ্গা। সেই সঙ্গে গোটা ফল খেলে বেশিক্ষণ পেট ভরা থাকে। আর গোটা ফলের ক্যালোরিও কম। তাই ওজন কমাতে রোজ ফল রাখুন পাতে।
সবুজ শাক সবজি- এই সময় প্রচুর শাক-সবজি পাওয়া যায়। সেই শাক- সবজি রাখুন পাতে। সবুজ শাক-সবজিতে থাকে কম ক্যালোরি। পেটও থাকে ভরা। সেই সঙ্গে শরীরে ঢোকে পুষ্টিগুণ। তবে বেশি মশলা দেবেন না তরিতরকারিতে।
প্রোটিন- ওজন কমাতে গেলে প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন থাকে ছোট মাছ, চিকেন ও ডিমের সাদা অংশে। তাই প্রতিদিন মাছ রাখুন পাতে। যাঁরা মাছ-চিকেন খান না তাঁরা মুগ ও মুসুর ডাল খান। ছোলার ডাল, তরকা ডালও খেতে পারেন।
বেশি করে জলপান- ওজন কমাতে গেলে প্রতিদিন বেশি করে জল খাওয়া দরকার। জল হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় টক্সিন।
তেলমশলাদার খাবার এড়ান- গরমের আগে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করুন। প্যাকেটজাত খাবার, প্রসেসড ফুড, রাস্তার খাবার, বিরিয়ানি এমনকি মিষ্টি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। দেখতে পাবেন সুফল। রোজ বাড়ির পুষ্টিকর খাবারই খান।
ওয়ার্কআউট- শুধু ডায়েটেই কাজ হবে না, শরীরচর্চাও দরকার। সপ্তাহে রোজ না হলেও অন্তত ৩ দিন সাঁতার, দৌড় বা লাফদড়ি খেলুন। সাইকেল চালাতেও পারেন। এছাড়া জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। ওজন তাড়াতাড়ি কমাতে ওয়েট ট্রেনিংয়ের জুড়ি নেই। তবে আগে থেকে অভ্যাস না থাকলে এক মাসেই তাড়াহুড়ো করে ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করবেন না। বরং শরীর আরও ভালো করে গড়ে তুলতে পুজো পর্যন্ত নিজেকে সময় দিতে পারেন।
আরও পড়ুন- পেট পরিষ্কার হচ্ছে না? ৫ আয়ুর্বেদ টোটকায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি