Summer Relief Indoor Plant: গরমে ছাল চামড়া উঠে যাচ্ছে শরীরের। বৃষ্টি হোক বা না হোক আপাতত গরম কমছে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে সব জায়গার গড় তাপমাত্রা বাড়ছে। উপায় বলতে একটাই হয় এসি কিংবা কুলার কিনুন। কিন্তু মোটা টাকা গচ্ছা। তাহলে কী কোনও উপায় নেই। উপায় আছে। বিকল্প হিসেবে বাড়িতে প্রাকৃতিক এসি লাগাতে পারেন।
এগুলি আর কিছু নয়, কিছু দারুণ ইন্ডোর প্ল্যান্ট। এগুলি ঘরের তাপমাত্রা শোষণ করে ঘরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। আর ঘরের ভিতরটা ঠান্ডা বোধ হতে থাকে। আসুন জেনে নিই কোন কোন গাছ আমাদের এই উপায় দিতে পারে।
স্নেক প্ল্যান্ট (Snake Plant)- অ্যালো ভেরার মতো এই গাছের পাতাও জলীয় উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই জানলার কাছে রেখে দিলে তা উত্তাপ শোষণ করে নেবে, ঘরের হাওয়াকে করে তুলবে শীতল। এটিতেও অতিরিক্ত জলসেচনের দরকার হয়।
পিস লিলি (Peace Lily)- এর অনবদ্য ফুলের শোভা যেমন চোখে শান্তি আনে, তেমনই গরমে বাতাস শীতল রেখে এটি দেহকেও আরাম দেয়। কেনার সময়ে একটু বড় পাতা দেখে কেনা ভালো আর বেশ কয়েকটা সারি দিয়ে একসঙ্গে রাখতে হবে।
কাস বেঞ্জামিনা (Ficus Benjamina)- উইপিং ফিগ (Weeping Fig) বলেও ডাকা হয় এই গাছকে। অর্থাৎ এই গাছ চোখের জল ফেলে। চোখের জল ফেলার এই অনুষঙ্গ বাতাসে আর্দ্রতা মোচনেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই ঘরে রাখলে তাপমাত্রা যেমন শীতল থাকে, তেমনই বাড়তি পাওনা হয় সৌন্দর্য- গৃহশোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।
রবার প্ল্যান্ট (Rubber Plant)- এই গাছের পাতা এমনিতেই বড় হয়! পাশাপাশি যদি সব চেয়ে বড় পাতার শ্রেণী দেখে গাছটি কেনা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তা ঘর ঠাণ্ডা রাখবে। শর্ত একটাই- মাঝে মাঝেই একটু জল ছিটিয়ে দিতে হবে গাছের গায়ে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট (Spider Plant)- মাকড়সা যেমন ছায়ার প্রাণী, তেমনই এই গাছকেও ছায়ায় রাখতে হয়। মানে ঘরের ভিতরে রাখতে হবে। আর তাতেই এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাতাস পরিশুদ্ধ করবে, কমিয়ে দেবে ঘরের উষ্ণতা।৭. বাম্বু পাম (Bamboo Palm)- এর বড় বড় পাতা খুব সহজেই চার পাশের উষ্ণতা শোষণ করে নেয়। তাই গ্রীষ্মে ঘর হিমশীতল রাখতে কাজে আসতে পারে বাম্বু পাম। শুধু দিনে বেশ কয়েকবার জল দিতে ভুললে চলবে না!
পটহোজ (Pothos)- যদি পরিচর্যার ঝক্কি এড়ানো উদ্দেশ্য হয়, তাহলে পটহোজের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। এটি একই সঙ্গে বাতাস পরিশুদ্ধ করে ঘরের তাপমাত্রা শীতল রাখবে। তার জন্য দিনে একবার জল দিলেই যথেষ্ট!
অ্যালো ভেরা (Aloe Vera)- এই গাছের গুণের কথা নতুন করে খুব একটা বলার নেই। এর পাতার ভিতরে থাকে জলীয় ওষধি উপাদান, যা ত্বকে লাগালে নিমেষে ক্ষত বা পোড়া জুড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রা কমাতেও কাজে আসে অ্যালো ভেরা। এই গাছেও কিন্তু একটু বেশি জল দিতে হয়।
বস্টন ফার্ন (Boston Fern)-শুধু ঘরের তাপমাত্রা কমানোই নয়, একই সঙ্গে ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। তবে ফার্ন যেহেতু শীতল পরিবেশের গাছ, তাই এটি রাখতে হবে ছায়ায়, ঘন ঘন জলও দিতে হবে।
চাইনিজ এভারগ্রিন (Chinese Evergreen)- নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই চিরসবুজ গাছ ঘরে শান্তির আশ্রয় তৈরি করবে। বাতাস পরিশুদ্ধ রাখবে, গ্রীষ্মকে কাছে ঘেঁষতে দেবে না। যত বড় পাতা দেখে কেনা যাবে, উপকারও পাওয়া যাবে তত বেশি।
এরিকা পাম (Areca Palm)- তালিকায় সবার শেষে এর নাম এলেও NASA কিন্তু তার গবেষণায় সব চেয়ে বেশি নম্বর দিয়েছে এরিকা পামকেই! তবে ঘরের ভিতরটা ঠাণ্ডা রাখতে মাঝে মাঝে জল দিতে হবে গাছে আর ছায়ায় রাখতে হবে একে।