গত সপ্তাহে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নাম তুলেছেন ভেনেজুয়েলার হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ-মোরাস। জুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ-মোরাসের বয়স বর্তমানে ১১৩ বছর। ১৯০৯ সালের ২৭ মে জন্ম তাঁর।
সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে, দীর্ঘ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পেরেজ মোরাজের ক্ষেত্রে সেটি একেবারেই নয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ১১৩ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও পেরেজ এখনও সুস্থ এবং প্রতিদিন তিনি স্ট্রং এক পেগ মদ্যপান করেন। পেরেজের ৪১ জন নাতি, ১৮ জন গ্রেট গ্র্যান্ডচিলড্রেন্স এবং ১২ জন গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ডচিলড্রেন্স রয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার তাচিরা রাজ্যের সান জোসে দে বলিভারের এক চিকিৎসক এনরিক গুজমান জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উচ্চ রক্তচাপ এবং কিছুটা শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং কোনও ধরনের ওষুধও খান না।
এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী?
পেরেজ নিজের দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন,"কঠোর পরিশ্রম করুন, ছুটির দিনে বিশ্রাম নিন, তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান, প্রতিদিন এক গ্লাস ওয়াইন পান করুন, ঈশ্বরকে ভালোবাসুন এবং সর্বদা তাঁকে মনে রাখুন।"
পেরেজ খুবই ধার্মিক। তিনি দিনে দুবার প্রার্থনা করেন। স্পেনের স্যাটার্নিনো দে লা ফুয়েন্তে গার্সিয়া এই বছরের ১৮ জানুয়ারি ১১২ বছর ৩৪১ দিনে মারা যাওয়ার পরে জুয়ানকেই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তির তকমা দেওয়া হয়েছে।
পেরেজের স্ত্রীয়ের নাম ছিল এডোফিনা দেল রোজারিও গার্সিয়া। তাঁরা একসঙ্গে ৬০ বছর বসবাস করেছেন। ১৯৯৭ সালে তাঁর স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়েছ। পেরেজ এবং এডিওফিনার ১১টি সন্তান। তাঁদের মধ্যে ৬টি ছেলে এবং ৫টি মেয়ে।
আরও পড়ুন - সল্টলেকে মা-মেয়ের দেহ ঘিরে রহস্য, সুইসাইড নোটে লেখা...