শীতকাল চলে এসেছে। আর শীতকাল মানেই প্রচুর ধরনের মরশুমি ফল। সেখানে যেমন রয়েছে কমলা লেবু, তেমনই রয়েছে শাকালুও। এছাড়াও শীতের আরও একটি অন্যতম প্রধান ফল হল কুল। এই কুল বিভিন্ন ধরনের হয়। কাঁচা বা চাটনি-সহ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় কুল। এছাড়াও শীতের দুপুরে মিঠে রোদ পিঠে নিয়ে কুল খাওয়ার মজাই আলাদা। কুল স্বাদেও যেমন অতুলনীয়, তেমনই রয়েছে এর বেশকিছু উপারিতাও। আদতে কুল দেখতে খুব ছোট হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ, যা দেহের বিভিন্ন কাজে লাগে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কুলের কী কী উপকারিতা।
১. যাঁরা নিজেদের ওজন কমাতে চান তাঁরা অবশ্যই কুল খান। এই ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু। তবে এতে ক্যালরির পরিমান খুবই কম। কুল খেলে পেট ভরা থাকে, ফলে ক্ষুধা বোধ কম হয়। ওজনও কমতে থাকে।
২. কুল ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষভাবে কার্যকরী। এটি ত্বককে চকচকে করে। যাঁরা অ্যান্টি-এজিং পণ্যের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করতে চান না তাঁরা বরং কুল খেতে পারেন।
৩. কুল খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া ফসফরাসও যথেষ্ট পরিমানে থাকে কুলে। এই দুটি পুষ্টি উপাদানই হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
৪. কুল খেলে হজমশক্তি ঠিক থাকে। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ফলটি কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়। তাই অ্যাসিডিটি সারাতে এটি খেতে পারেন।
৫. শীতকালে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়। আর কুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা মানবদেহকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. কুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও পাওয়া যায়, যা লিভারের কার্যকারিতাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয় এবং ফেলিওয়ের সম্ভাবনা কমায়।
৭. এছাড় যদি কুল খান, তাহলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমানো যায়। কারণ এটি ক্যান্সার কোষকে বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন - নতুন বছরে রাহুর শুভ প্রভাব, ৩ রশির ভাগ্যদয়-বিপুল অর্থযোগ