দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া ও নিয়মিত শরীরচর্চা। তবে আপনি কি জানেন অন্যের প্রতি ভাল আচরণ বাড়াতে পারে আয়ু। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একজন সার্টিফায়েড মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কেলি হার্ডিং জানাচ্ছেন যে, একটি ভাল ব্যক্তিত্ব এবং অন্যের প্রতি দয়ালু হলে শরীরের হ্যাপি হরমোন প্রভাবিত হয়, যা মানুষের আয়ু প্রায় ৭ বছর বাড়িয়ে দেয়।
নিজের বইতে ডাঃ কেলি হার্ডিং লিখেছেন মানুষের দয়ালু স্বভাবের ভাল প্রভাব তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্তচাপের ওপরে পড়ে। ফলে মানুষ ভাল ও দীর্ঘ জীবন উপভোগ করতে পারনে। 'জেমস এলিস নিউট্রিশন'-এর স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক জেমস এলিসও প্রায় একই কথা বলেছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভাল আচরণ করার ফলে আমাদের রক্তচাপ এবং মানসিক চাপের মাত্রা হ্রাস পায়। রিপোর্টে মানুষের বার্ধক্যের আরও অনেক গোপন কথা বলা হয়েছে।
ভাল বন্ধু বানান - ভাল বন্ধু সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে যে সমস্ত মানুষের সামাজিক সম্পর্ক ভাল রয়েছে তাঁদের কম সামাজিক সম্পর্কযুক্ত মানুষের তুলনায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ২২ শতাংশ বেশি। ভাল বন্ধু যে শুধুমাত্র সুসময়ে সঙ্গ দেয় এমন নয়, খারাপ সময়েও পাশে থাকে।
ভাল আচরণ - আমেরিকার বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন যে অন্যের সঙ্গে ভাল আচরণ করলে ও তাঁদের সময় দিলেও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। ২০১৩ সালে ৮৪৬ জন মানুষের ওপর ৫ বছর ধরে চলা এক গবেষণায় এমন তথ্য সামনে এসেছে।
প্রাণ খোলা হাসি - হাসলে শুধু আমাদের মস্তিস্কই চাঙ্গা হয় না, কর্টিসল এবং এন্ডোরফিনের মতো হরমোন নিঃসরণের জেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্তচাপও ঠিক রাখে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ২০১০ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, যাঁরা প্রচুর হাসেন তাঁরা গড়ে ৭৯.৯ বছর বাঁচেন। অন্যদিকে যাঁরা তুলনামূলকভাবে একটু কম হাসেন তাঁদের গড় আয়ু ৭৫ বছর। আর যাঁরা হাসেন না তাঁরা গড়ে বাঁচেন ৭৯.২ বছর।
এই ৩টি বিষয়ও মনে রাখবেন - অন্যর জন্য় সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া, নিজেকে ভাল রাখা এবং একজন ভাল শ্রোতা হলেও শরীরের ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বোস্টন স্কুল অফ মেডিসিনের ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইতিবাচক মনোভাব মানুষের আয়ু ১১ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন - গরমে ডায়েটে রাখুন এই ৮ জিনিস, শরীর থাকবে সুস্থ ও তরতাজা