Simple Tips To Lower AC Electricity Bills: তাপ আর তাপমাত্রা যত বাড়ছে, এসির প্রয়োজনীয়তাও ততই বাড়ছে। কিন্তু অতিরিক্ত এসি ব্যবহারে বেশি বিদ্যুতের বিল নিয়ে টেনশন করেন অনেকেই। তবে গরমে এসি চালিয়েও কম বিদ্যুতের বিল পেতে পারেন। তার উপায় জানা আছে কি? চলুন এমন ৬টা কৌশল জেনে নিন যার সাহায্যে দিনরাত এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কম আসবে...
আপনার এসি সঠিক ডিফল্ট তাপমাত্রায় সেট করুন:
গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। আপনি আপনার এসির তাপমাত্রা যত কম রাখবেন, এর কম্প্রেসার তত বেশি সময় কাজ করবে। যে কারণে আপনার বিদ্যুৎ বিল বাড়বে। তাই আপনি যদি ডিফল্ট তাপমাত্রায় এসি চালু রাখেন তবে আপনি ২৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। আপনি যদি চান, আপনি এখনও আপনার পছন্দ মত তাপমাত্রা কম রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ৫ ভুল কখনওই নয়, ভরাডুবি হবেন
আপনার AC ১৮°C এর পরিবর্তে ২৪°C এ রাখুন:
আপনাকে আপনার এসির তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি থেকে ২৩-২৪ ডিগ্রিতে রাখতে হবে। এতে আপনার বিদ্যুতের খরচও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আপনার ঘর শক্তভাবে বন্ধ করুন এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন:
যখন এয়ার-কন্ডিশনার চালাবেন, তখন অবশ্যই ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে। তাতে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। এসি ব্যবহারের সময় টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই যন্ত্রপাতিগুলি প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে।
শক্তি সঞ্চয় করতে সুইচ অন এবং সুইচ অফ করুন:
শক্তি সঞ্চয় এবং আরামদায়ক তাপমাত্রায় থাকার একটি উপায় হল রাতে এসি বন্ধ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে আপনি যদি সারা দিন এটি চালান তবে রাতে আপনার এত এসির প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি দীর্ঘ সময় এসি রুমে কাটান, তবে আপনার এই কৌশলটি কাজে লাগান।
এসি সহ ফ্যান ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়:
এসি চলাকালীন সিলিং ফ্যান চালু রাখতে হবে। সিলিং ফ্যান চললে ঘরের সব কোণে শীতল বাতাস চলাচল করে। যার কারণে আপনাকে এসির তাপমাত্রা কমাতে হবে না। কম শক্তি ব্যবহার করেও তাড়াতাড়ি ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে কম সময় এসি চালিয়ে বিদ্যুতের বিলও কম আসবে।
এসি সার্ভিসিং করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে:
এসিতে ময়লা জমে থাকার কারণে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। ফিল্টারের নোংরা ঝেড়ে বা একটি নতুন ফিল্টার ইনস্টল করে নিলে AC-এর শক্তির খরচ প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যাবে। ফলে কমবে বিদ্যুতের বিলও।