Advertisement

Bear Grylls Diet Plan: শোয়ে পোকামাকড় খেয়েও দুরন্ত স্ফূর্তি! বিয়ার গ্রিলসের বাড়ির ডায়েট জানুন

Bear Grylls Diet: দুঃসাহসিক কীর্তির জন্য বিখ্যাত বিয়ার গ্রিলস। শোয়ে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে কখনও জীবন্ত পোকামাকড়, বিছে, সাপ-ব্যাঙও খেয়ে ফেলেন। তেমনই দুরন্ত তাঁর শারীরিক সক্ষমতা। সাপ-ব্যাঙ খেয়েও কী করে এমন ফিট থাকেন?

Bear Grylls- বিয়ার গ্রিলস। Bear Grylls- বিয়ার গ্রিলস।
  • কলকাতা ,
  • 24 Jul 2022,
  • अपडेटेड 4:41 PM IST
  • শোয়ে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে কখনও জীবন্ত পোকামাকড়, বিছে, সাপ-ব্যাঙও খেয়ে ফেলেন।
  • বিয়ার গ্রিলস একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট খোলাস করেছেন।

বিয়ার গ্রিলস। পশুপাখি, অ্য়াডভেঞ্চার দেখতে ভালবাসেন এমন যে কেউ তাঁকে এক ডাকে চেনেন। তাঁর জনপ্রিয় শো 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড'দুনিয়াজুড়ে সমাদৃত। আর কে এই শোয়ে অতিথি হয়ে আসেননি! মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অক্ষয় কুমার, রণবীর সিং-সহ তাবড় হলিউড সেলিব্রিটিরাও। দুঃসাহসিক কীর্তির জন্য বিখ্যাত বিয়ার গ্রিলস। শোয়ে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে কখনও জীবন্ত পোকামাকড়, বিছে, সাপ-ব্যাঙও খেয়ে ফেলেন। তেমনই দুরন্ত তাঁর শারীরিক সক্ষমতা। সাপ-ব্যাঙ খেয়েও কী করে এমন ফিট থাকেন? অতিসম্প্রতি বিয়ার গ্রিলস একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট খোলাস করেছেন। জঙ্গলে শ্যুটিংয়ের ধকল কীভাবে নেন, তার হালহদিশ দিয়েছেন বিয়ার। 

বিয়ার গ্রিলসের আসল নাম এডওয়ার্ড মাইকেল গ্রিলস। জন্ম ১৯৭৪ সালের ৭ জুন, লন্ডনে। ইংরেজি, স্প্যানিশ, এবং ফ্রেঞ্ ভাষায় সাবলীল। শৈশবে, স্কাইডাইভিং শিখেছিলেন। রয়েছে ক্যারাটের ব্ল্যাক বেল্টও। বিয়ার গ্রিলস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ৩ বছর চাকরিও করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি রয়্যাল নেভি রিজার্ভে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার   হন। মাত্র ২৩ বছরে ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। তার ১৮ মাস পরে প্যারাসুট গ্লাইডিংয়ের সময় মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লাগে বিয়ারের। আবার উঠে দাঁড়ান। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ পর্যন্ত একাধিক টিভি শো করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৫ সালে Escape to the Legion, Man Vs Wild, ২০১১ সালে Bear Wild Weekend, ২০১৩ সালে Get Out Alive, Escape from Hell, The Iceland, Running Wild with Bear Grylls, Mission Survivor ইত্যাদি। এহেন বিয়ারের ডায়েটে কী থাকে? 

বিয়ার গ্রিলস জানান,'আগে আমি নিরামিষভোজী ছিলাম। পরে আমিষ ডায়েট নেওয়া শুরু করি। ডায়েটে রেড মিট, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ফল রাখি। ড্রাই ফ্রুটস, আটা ও সবজি থাকে না। মধ্যাহ্নভোজে ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, প্রচুর মাখন এবং ফল খাই। এছাড়াও একদিন অন্তর লিভারের মাংস খাই। সপ্তাহে এক বা দু'বার পিৎজা বা ভাজা জিনিসও খাই। এছাড়া মোষের ধমনী থেকে রক্ত , পশুর হার্ট কাঁচা খেয়েছি। এই খাবারগুলি আমার জন্য কঠিন নয় কিন্তু এটা তেমন সুস্বাদুও নয়। তবে এখন আমি কাঁচা মাংস খাই না শুধু রান্না করা খাবার খাই।'

Advertisement

আরও পড়ুন

বেয়ার গ্রিলস আরও বলেন,'যখন আমার কোভিড-১৯ হয়েছিল, তখন প্রচুর জুস এবং শাকসবজি খেয়েছিলাম। কিডনি ব্যথা শুরু হয়। প্রস্রাব বন্ধ এমনকি কিডনিতে পাথরের সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যা ডিহাইড্রেশন বা সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার ফলে হয়। আমার মনে হয়, শাকসবজি মানবদেহের জন্য উপযুক্ত নয়।

অ্যাভভেঞ্চার সেরে বাড়ি আসার পর প্রথমে বার্গার খান বিয়ার। বার্গারে থাকে চিজ ও ডিম। সেই সঙ্গে এক চামচ অস্থিমজ্জা, দই, মধু এবং বেরি খান। এর পর লেবুর রস খান।

বেয়ার গ্রিলসের ওয়ার্কআউট 

৪৮ বছর বয়সী বিয়ার গ্রিলস প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন। খুব একটা দৌড়ন না। কার্ডিও হিসাবে তিনি টেনিস খেলেন এবং সপ্তাহে তিন দিন ৩০-৪০ মিনিট ওয়েট ট্রেনিং করেন। সপ্তাহে একবার সকালে ১৫ মিনিটের জন্য যোগব্যায়ামও করেন। যেদিন ওয়েট ট্রেনিং করেন না সেদিন তিনি ৫০০ মিটার দৌড়ন। ২৫টি পুল-আপ, ৫০টি প্রেস-আপ, ৭৫টি স্কোয়াট এবং ১০০টি সিট-আপ করেন। 

Read more!
Advertisement
Advertisement