Advertisement

National French Fry Day : ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-এর জন্ম ফ্রান্সে? কীভাবে জনপ্রিয়? চমকে দেওয়া ইতিহাস

স্ন্যাকসের মধ্যে অন্যতম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (National French Fry Day)। সরু ও লম্বা আকৃতির বিশেষ ধরনের এই আলু ভাজা সস, চাটনি বা কাসুন্দি দিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগে। আজ সেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়েরই দিন। অর্থাৎ আজ জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ডে। কিন্তু এটা কি জানেন আলুর এই বিশেষ পদ খাওয়া কবে থেকে চালু হল? কীভাবেই বা হল এই নামকরণ? 

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Jul 2022,
  • अपडेटेड 6:53 PM IST
  • অনেকেরই প্রিয় স্ন্যাকস ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
  • কোথায় এর জন্ম?
  • জেনে নিন গোটা ইতিহাস

স্ন্যাকস খেতে প্রায় সকলেই ভালবাসেন। আর এই স্ন্যাকসের মধ্যে অন্যতম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (National French Fry Day)। সরু ও লম্বা আকৃতির বিশেষ ধরনের এই আলু ভাজা সস, চাটনি বা কাসুন্দি দিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগে। আজ সেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়েরই দিন। অর্থাৎ আজ জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ডে। কিন্তু এটা কি জানেন আলুর এই বিশেষ পদ খাওয়া কবে থেকে চালু হল? কীভাবেই বা হল এই নামকরণ? 

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্ম নিয়ে বেশকিছু মতভেদ আছে। শোনা যায় একাধিক কাহিনি। যেমন, ১৫৩৭ সালে একবার স্প্যানিশ নাগরিক জিমেনেজ দে কুয়েসেডা নাকি তাঁর দলবল নিয়ে কলম্বিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সফর চলাকালীন একটি গ্রামে নতুন ধরনের এক আলুর সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। নতুন ধরনের বলা হচ্ছে কারণ, ওই আলু ছিল আকারে বেশ কিছুটা বড়। তাঁরা ওই আলুর নাম দেন 'ট্রাফলস'। এর প্রায় ২০ বছর পর স্পেনে ওই প্রজাতির আলুর চাষ শুরু হয়। প্রায় একই সময় ইতালিতেও শুরু হয় ওই আলুর চাষ। যদিও সেই চাষ সফল হয়নি। কারণ সেই আলুগুলি একদিকে যেমন আকারে ছিল ছোট, তেমনই স্বাদেও ছিল তেঁতো। পরবর্তীতে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আসে সফলতা। এরও পরে বেলজিয়ামে ওই আলুর চাষ শুরু হয়। বেলজিয়ামবাসী আবার মাছ খেতে খুব ভালোবাসেন। মাছকে পাতলা করে কেটে ভেজে খাওয়া তাঁদের খুবই প্রিয়। কিন্তু, হঠাৎই একবার সেদেশে মাছের আকাল দেখা দেয়। ফলে মাছের বদলে আলুকে সরু সরু করে কেটে খাওয়া শুরু করেন তাঁরা। নতুন সেই আইটেম বেশ পছন্দও হয় বেলজিয়ামের মানুষের। এভাবে চলতে চলতেই একসময় ১৭ বা ১৮ শতকের শেষের দিকে জন্ম হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের।  

Advertisement
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

কারও কারও মতে আবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্ম ফ্রান্সে। তাঁরা বলেন, ফ্রান্সে আলুর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিলেন সে দেশের সেনাবাহিনীর চিকিৎসক অ্যান্টনি অগাস্টিন পারমেনতিয়ার। ১৭৭২ সালে প্যারিসের মেডিক্যাল বিভাগ জানায় যে আলু খাওয়া নিরাপদ। ওই চিকিৎসক আলুর চাষও শুরু করেন। তারপরেই সেদেশে শুরু হয় আলু খাওয়া, ধীরে ধীরে যা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু ১৭৮৫ সালে হঠাৎই ছন্দপতন। ফ্রান্সে আলুর আকাল দেখা দেয়, যা প্রায় ১০ বছর চলে। এরপর ফের প্রচুর পরিমাণ আলুর চাষ শুরু হওয়ায় কেটে যায় সংকট। সেই সময় ফরাসীরা আলু সরু সরু করে কেটে ভেজে খেতে শুরু করেন। মনে করা হয় সেই আলু ভাজাই বর্তমানের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। 

আরও পড়ুন - পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ইঙ্গিত দেয়, যে লক্ষণগুলি দেখলেই ফার্টিলিটি টেস্ট করানো উচিত

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement