ঝিরঝিরে রোগা। কিছুতেই গায়ে মাংস লাগছে না! অনেকেরই ধারণা, বেশি খাটাখাটনি করলে ওজন বাড়ে না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এ তত্ত্ব ভুল। গবেষকরা দেখেছেন,রোগা ব্যক্তিরা অন্যদের চেয়ে কম খান বলেই তাঁদের ওজন কম থাকে। ১৫০ জন রুগ্ন মানুষের উপরে করা হয়েছে এই গবেষণা। কী পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা?
ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবারডিনের গবেষণায় ১৫০ জন অতি রুগ্ন ব্যক্তির ডায়েট ও এনার্জির সঙ্গে ১৭৩ জন সাধারণের তুলনা করা হয়েছিল। দু'সপ্তাহের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রোগা ব্যক্তিরা ২৩ শতাংশ কম শারীরিক কসরত করেন। অলস বসে থাকেন বেশি। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের চেয়ে ১২ শতাংশ কম খাবার খেয়েছেন। দেখা গিয়েছে, তাঁদের রেস্টিং মেটাবলিজম দ্রুত। যা স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় নিষ্ক্রিয় থাকা সত্ত্বেও আরও বেশি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জন স্পিকম্যান বলেন,'এই গবেষণার ফলাফল সত্যিই সাংঘাতিক। প্রায়শই অনেকে বলে থাকেন রোগা ব্য়ক্তিরা যা ইচ্ছে খেতে পারেন। কিন্তু সমীক্ষা দেখাচ্ছে, মানুষ বেশি শারীরিক পরিশ্রমের কারণে রোগা হন না, বরং কম খাওয়ার কারণে হয়। তাঁরা যা খান তা স্বাভাবিক বডি মাস ইনডেক্স (BMI)মানুষের তুলনায় অনেক কম।' অর্থাৎ কম ক্যালোরি খান বলেই তাঁরা রোগা হন।
গবেষকরা বলছেন, স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় গড়ে ১২ শতাংশ কম খেয়েছিলেন রোগা ব্যক্তিরা। কিন্তু তাঁরা বসে বসেই ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলছেন। কারণ তাঁদের মেটাবলিজম স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে দ্রুত হয়। অতিরিক্ত হজমক্ষমতা অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য। ফলে খিদে কম পায়। ওজন বাড়ে না।
গবেষকরা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন যে স্বাভাবিকভাবে রোগা মানুষের মেটাবলিজম বেশি হয় কি না? থাইরয়েড হরমোন কি তাদের জিনের কারণে বৃদ্ধি পায়? যা রোগা মানুষের ওজন বৃদ্ধি বন্ধ করে। এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, ১.৭ শতাংশ মানুষের কোনও জটিল অসুখের কারণে গায়ে মাংস লাগে না।