খুলেও খোলেনি ভুটান। আশা জাগাচ্ছে নেপাল। ভারতীয় পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিল নেপাল। পুজোর মরশুমে ভারতীয় পর্যটকরা বিশেষ করে নেপাল লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। দীর্ঘদিন ধরে নেপালের দরজা বন্ধ ছিল। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে স্বাভাবিক খরচের চেয়ে বেশিরভাগ জায়গাতেই সস্তায় ভ্রমণের সুযোগ করে দিচ্ছে নেপাল পর্যটন।
কাটমান্ডু থেকে পোখরা, সব জায়গায় এখন নতুন সাজে সাজে সেজে উঠেছে। বিভিন্ন টুরিস্ট ডেস্টিনেশন কেন্দ্রগুলি। শর্তসাপেক্ষে ফ্রান্সের একটি ট্রেকিং দলকে কিছুদিন আগে অনুমতি দিয়েছিল নেপাল। তাদের সফল প্রত্যাবর্থনের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করে তারা। ভারতীয়দের ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বুধবার নির্দেশিকা জারি করেছে কাটমান্ডু।
বিমানের পাশাপাশি বিহারের রক্সৌল এবং উত্তর প্রদেশের গোরখপুর রেল স্টেশনে নেমে অনেকেই নেপালে যান। শিলিগুড়ি হয়ে ভদ্রপুর থেকে কাটমান্ডু পর্যন্ত যেমন আকাশপথে যোগাযোগ রয়েছে, তেমনই দু'বছর আগে শিলিগুড়ি কাটমান্ডু বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। কোভিড এর জন্য যদিও তা বন্ধ রয়েছে। তবে নেপাল সরকার ভারতীয় পর্যটকদের ছাড়পত্র দ্রুত চালু হয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন। পাশাপাশি শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি নেপালে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম বিধিনিষেধ নেই। যেহেতু দু'দেশের মধ্যে ভিসা-পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় না, তাই ভারতের সচিত্র পরিচয় পত্র নিয়ে নেপালের যেখানে খুশি ঘোরা যায়।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্য়ান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সান্যাল জানিয়েছেন, পুজোর বুকিং এক্ষেত্রে আমরা আশাবাদী, পর্যটকরা নতুন করে আগ্রহী হবে নেপালের ক্ষেত্রে। নেপালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বরাবরই পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রে। তার পাশাপাশি কিছু প্রাচীন স্থাপত্য নজর টানে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন এন্ড ট্যুরিজম এর কনভেনার রাজ বসু জানিয়েছেন বাস সার্ভিস চালু হয়ে গেলে সড়কপথেও নেপালে যাওয়ার হিড়িক পড়ে যাবে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে দুধের মিলে বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে যা বহির্বিশ্বের কাছে সদর্থক বার্তা পৌঁছে দেবে।
তবে কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে নেপালে প্রবেশ করতে হবে। rt-pcr থেকে করোনার টিকা নেওয়ার পরই ছাড়পত্র মিলবে নেপাল যাওয়ার।