Advertisement

হানিমুনে গিয়ে স্বামীর ফোনটায় চোখ রাখতেই সব ফাঁস! বাকিটা...

মহিলা জানাচ্ছেন, 'আমি ও আমার পার্টনার ৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। আমার জন্য সেটাই ছিল সবচেয়ে খুশির বিষয়। বিয়ের আগে অনেকেই খুব ভয়ে থাকেন। আমাদের বিয়ের চার মাস আগেই সে একটি আইন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়। ওর নতুন চাকরির আনন্দে আমি একটি পার্টি দিয়েছিলাম। কিন্তু পার্টিতেও সে কেমন অন্যমনষ্ক ছিল। সেখান থেকেই আমাদের সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়।' 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 23 Feb 2022,
  • अपडेटेड 12:02 PM IST
  • হানিমুনে গিয়ে ধাক্কা খেলেন নববধূ
  • জানতে পারলেন স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে
  • সঙ্গে সঙ্গে নিলেন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত

ভরসা ও ভালবাসাই হল যেকোনও মজবুত সম্পর্কে ভিত্তি। ভালবাসার মধ্যে দিয়েই মানুষ একে অপরের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অনেক সময়ই হয় যে একে কারও পার্টনার তাঁর ভালবাসা বুঝতে পারেন না এবং তাঁকে ঠকান। অনেক সময় দেখা যায় স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে একটা সময় খুবই ভালবাসা ছিল। তবে পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অন্য কাউকে ভাল লাগতে শুরু করে। তবে ভালবাসায় ধাক্কা খেলে মানুষ ভিতর থেকে ভেঙে যান। কারণ কাছের কেউ আঘাত দিলে মানুষের ভাবনা চিন্তা থমকে যায়। সম্প্রতি এক মহিলা নিজের এমনই একটি কাহিনি শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ৫ বছর সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু হানিমুনে গিয়ে জানতে পারেন যে, তাঁর পার্টানার তাঁকে ঠকাচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গোটা বিষয়টি। 

এই হল বিষয়

মহিলা জানাচ্ছেন, 'আমি ও আমার পার্টনার ৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। আমার জন্য সেটাই ছিল সবচেয়ে খুশির বিষয়। বিয়ের আগে অনেকেই খুব ভয়ে থাকেন। আমাদের বিয়ের চার মাস আগেই সে একটি আইন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়। ওর নতুন চাকরির আনন্দে আমি একটি পার্টি দিয়েছিলাম। কিন্তু পার্টিতেও সে কেমন অন্যমনষ্ক ছিল। সেখান থেকেই আমাদের সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়।' 

ওই মহিলা আরও জানাচ্ছেন, 'আমার পার্টনার কাজের মধ্যে অনেকটা সময় কাটাতে থাকে। খুবই ব্যস্ত থাকত। তবে আমি তাতে খুব একটা গুরুত্ব দিই নিই, কারণ আমিও বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলাম। ও সারাদিন অফিসের কাজ করত, আর সপ্তাহের শেষে আমার সঙ্গে বিয়ের শপিং করতে যেত। সবই ভাল চলছিল। অবশেষে আমাদের বিয়ের দিন চলে আসে এবং আমি খুবই খুশি ছিলাম। কিন্তু পার্টনারকে দেখলাম বিয়ের দিনও খুবই চিন্তিত। তাকে জিজ্ঞাসা করায় সে বলল, কজের চাপ ও বিয়ের টেনশনে সে চিন্তিত। আমি তার কথা বিশ্বাস করলাম। আমি ভাবলাম যে হয়ত হানিমুনে গিয়ে বিষয়গুলি ঠিক হয়ে যাবে। হানিমুনে আমাদের বালি যাওয়ার কথা ছিল।' 

Advertisement

মহিলার জানাচ্ছেন, 'হানিমুনে গিয়েও কোনও পরিবর্তন এল না। আগে যখন আমি আমার পার্টনারের জন্য সাজতাম তখন ও খুব খুশি হত, কিন্তু এখন ওর মধ্যে কোনও আনন্দ দেখতে পেতাম না। এর আগে কখনও তাকে এমনটা দেখিনি। আমি ভেবেছিলাম হানিমুনে গেলে ও কিছুদিন কাজের চাপের বাইরে থাকবে। কিন্তু সেটা হল না। আমরা হানিমুনে গিয়ে কোনও অ্যাক্টিভিটিও করিনি। আমরা শুধু হোটেলের ঘরেই থাকতাম। কিন্তু অতটা সময় হোটেলের ঘরে থাকলেও আমাদের মধ্যে কোনও শারীরিক সম্পর্কও হয়নি। সেটা আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। আমার মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে থাকে ও নিজেই সেগুলির জবাব খুঁজতে থাকি। আমার মনে হল ওর ফোনটা দেখা দরকার। হয়ত এমন কিছু বিষয় আছে যেটা ও আমার সঙ্গে শেয়ার করতে পারছে না। এরপর একদিন ও ঘুমিয়ে পড়লে আমি ওর ফোনটা দেখি।' 

মহিলা বলছেন, 'আমি ওর ফোনে কোনও মেসেজ দেখতে পাইনি। ওর ফোনে কিছু বন্ধুদের কল এসেছিল, তাছাড়া আর কিছু ছিল না। কিন্তু তখনই এক মহিলার একটি মেল এল। সেটা আমি ভুল করে খুলে ফেলি। সেটা একটি রোম্যান্টিক মেল ছিল। মেলে ওই মহিলা জানান, যে তিনি ওকে কতটা মিস করছেন। এরপর তার মেল বক্স খুলতেই দেখি তাতে ওই ধরনের আরও মেল রয়েছে। তাতে আমি বুঝতে পারে যে আমার পার্টনার, যার সঙ্গে আমি গত ৫ বছর ধরে রয়েছি, সে আমায় ঠকাচ্ছে।' 

এরপর মহিলা বলেন, 'ওই দেখে আমার মন ভেঙে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই ফেরার বিমান বুক করি। তারপর আমি আমার স্বামীকে বলি যে তার অ্যাফেয়ারের বিষয়ে জানতে পেরে গিয়েছি। আমার স্বামী ক্ষমাও চায়। কিন্তু আমি ওকে আর ভরসা করতে পারছি না। আমি তাকে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছি।' 

আরও পড়ুনপরপর ৩ দিন, অথচ বুধ-শুক্র-রবিবার থাকবে না, উত্তর জানেন?


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement